অর্থ পাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃতআলোচিত-সমালোচিত সেই পাপিয়া কান্ডের শামিমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।রোববার (২৫ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে এ মামলার অন্য চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ফেব্রæয়ারিতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক হন শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান।মামলার তদন্তে উঠে আসে,রাজনীতি ও প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি অপরাধ চক্র। ঢাকার একাধিক হোটেলে চলত অবৈধ কর্মকান্ড যেখানে ছিল অস্ত্র, মাদক, এবং বিপুল অর্থ লেনদেন।এর আগে গত বছরের ২৪ জুন কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে কারামুক্ত হন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত এই নেত্রী। তবে তার আগে তিনি কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন পাপিয়া। সেখানে এক নারী বন্দীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এর পরপরই ২০২৩ সালে ৩ জুলাই তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের রেকর্ড বইয়ে পাপিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, পাপিয়া হাজতি রুনা লায়লা ছাড়াও কয়েকজন বন্দীকে গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখাতে আঘাত করেছেন। এ ছাড়া তিনি কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে অন্য বন্দি দিতে চাইলে আপত্তি জানিয়েছিলেন।পাপিয়া গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে কারারক্ষীদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছেমতো অন্য বন্দিদের সেল পরিবর্তন করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার কক্ষ তল্লাশি করে স্মার্টফোন ও চার্জার পাওয়া যায়।
ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বিলাসবহুল কক্ষ ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালাতেন পাপিয়া।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়ে আঁচ পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২০২০ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর পাপিয়াকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই বছরই অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর ২০ বছরের কারাদন্ড হয়।
আপনার মতামত লিখুন :