বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাবাহীন বড় হচ্ছে এসব নায়িকার সন্তানরা

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ১১:৫৭ এএম

বাবাহীন বড় হচ্ছে এসব নায়িকার সন্তানরা


নিজের কষ্টটা প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই মুখে। তবুও শিশুদের ছলছল চোখ বুঝিয়ে দেয়—ভাষা না থাকলেও বড়দের তুলনায় তার দুঃখটা কেনো অংশে কম নয়। একপাশে মা, এক পাশে বাবা একটি শিশুর জন্য এর চেয়ে নিরাপদ আশ্রয় আর কী হতে পারে। তবে অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই মারা যাওয়া গাছটির মতো কিছু শিশু জন্মের পরপরই হয় বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের বলী। আপন দুটি মানুষের মাঝখানে শুয়ে শান্তির ঘুমের সুযোগ চিরতরে হারিয়ে ফেলে শিশুটি। সব শ্রেণিতে কমবেশি ডিভোর্স ঘটলেও শোবিজেরগুলো চাউর হয় বেশি। ঢালিউডে বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের খেসারতও দিচ্ছে কিছু স্টার কিড। তাদের নিয়েই এই গল্প।
সমাজের অন্য শিশুদের মতো নিয়মিত বাবার স্নেহ পাচ্ছে না—এমন দুটি শিশু হলো আব্রাম খান জয় ও শেহজাদ খান বীর। তাদের মা আলাদা হলেও বাবা একজনই। গড়পরতা নায়ক নয়, খোদ সুপারস্টার শাকিব খানের ছেলে ওরা। অর্থবিত্ত কিংবা খ্যাতি, কোনো কিছুরই কমতি নেই। কমতি শুধু একটি জায়গায়- চাইলেই বাবা-মায়ের আঙুল দুহাতের তালুতে বন্দি করে পথহাঁটা হয় না ওদের। জন্মদিনে কিংবা বিশেষ কোনোদিনে হয়তো কেক কাটতে বাবা-মা একসঙ্গে হন। তবে মাঝেমধ্যে সেই সুখটুকুও জোটে না। অপু বিশ্বাসের সন্তান আব্রামের প্রথম জন্মদিনেই কেক কাটতে হাজির হননি শিশুটির বাবা শাকিব। প্রথম ছেলের প্রথম জন্মদিনে সুপারস্টারের এমন অনুপস্থিতি আহত করেছিল ভক্তদের হৃদয়।
২০০৮ সালে ভালোবেসে গোপনে বিয়ে করেছিলেন শাকিব-অপু। কিন্তু বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালে। মধ্যখানে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করে আব্রাম খান জয়। তবে ছেলের মুখে ভালোভাবে বোল ফোটার আগেই ২০১৮ সালে এই দম্পতির বিচ্ছেদের খবর আসে। অন্যদিকে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বিয়ে হয় শাকিব-বুবলীর। এই দম্পতির ঘরে শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয় ২০২০ সালের ২১ মার্চ। কিন্তু গতবছরই বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ ঘটান শাকিব। অপুর সন্তান আব্রামের ভাগ্যই বরণ করে নিতে হয় বুবলীর সন্তান বীরকে।
ঢাকাই সিনেমার আরেক নায়িকা পরীমণির সন্তান রাজ্যও বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের খেসারত দিয়ে চলেছে। শিশুটির প্রতি তার বাবা শরিফুল রাজের অবহেলার অভিযোগ রয়েছে নেটিজেনদের পক্ষ থেকে। এমনকি এ নিয়ে রাজকে তুলাধোনা করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। নায়িকা পরীমণি একেরপর এক বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেও মা হয়েছেন কেবল শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর।
২০২১ সালে ১৭ অক্টোবর বিয়ে হয় রাজ-পরীর। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ঘরে জন্ম নেয় সন্তান রাজ্য। কিন্তু এখানেও ঘটল একই ঘটনা। ছেলের বয়স এক বছর হতে না হতেই নানা কলহ ও অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠান পরী। ফলে পিতার স্নেহ বঞ্চিত হয় এই দম্পতির সন্তান রাজ্য। এমনকি একটি নির্দিষ্ট নাম পেতেও বেগ পোহাতে হয়েছে শিশুটিকে। রাজের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা নাম রাজ্য বাদ দিয়ে দিয়ে ছেলেকে কখনো পুণ্য, কখনোবা পদ্ম নামে ডাকতে শুরু করেন পরীমণি। ছেলের অসুস্থতার সময়ও রাজ কোনো খোঁজ নেননি বলে অভিযোগও করেছেন পরী।
সম্প্রতি বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের মধ্যেই উদযাপিত হয়েছে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে ফারিশের জন্মদিন। শিশুটির বাবা রকিব সরকার অবশ্য তার আগের সংসারের সন্তানদের নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জন্মদিনে মায়ের কাছ থেকে দামি গাড়িও উপহার পেয়েছে ফারিশ। কিন্তু এই বয়স থেকেই বাবা-মায়ের যৌথ আদরের অর্ধেকটা হারিয়েছে এই নায়িকাপুত্র।
আব্রাম, বীর, রাজ্য ও ফারিশ ছাড়াও বাবার আদর ছাড়া বেড়ে উঠছে অভিনেত্রী সোহানা সাবার ছেলে। এসব শিশুদের মায়ের আদরের কোনো কমতি নেই। বাবারাও দূর থেকে ভালোবাসেন। কিন্তু দূরের মমতা তো আর কাছের মমতার মতো পুষ্টিকর নয়। এসব সন্তানেরা বাবার আদর থেকে বন্চিত হলেও বক্তরা তাদেরকে ¯েœহভালোবাসা তারা পায়।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!