রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কে এই অভিনেত্রী যিনি ৭ জন পুরুষকে ৮ বার বিয়ে করেন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম

কে এই অভিনেত্রী যিনি ৭ জন পুরুষকে ৮ বার বিয়ে করেন!


নাম তার এলিজাবেথ টেলর। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী তিনি। তিনি তার অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেইসঙ্গে তার হলিউড জীবনপদ্ধতির জন্যও, যেমন: অনেকগুলো বিয়ে করা। টেইলরকে হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম অভিনত্রী হিসেবে ধরা হয়। তাকে তাই বলা হয় জীবনের থেকেও বড় তারকা।
সাতজন পুরুষকে আটবার বিয়ে করেছিলেন টেলর। এরমধ্যে অভিনেতা রিচার্ড বার্টনকে দুইবার বিয়ে করেন। তবে কারো সঙ্গে থিতু হতে পারেননি। বিয়ে নিয়ে নিজেই মজা করে বলেছিলেন, ‘সাতজনকে আটবার বিয়ে করেছিলাম!’ এলিজাবেথ টেলর হলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। ‘ক্লিওপেট্রা’ছবির জন্য নিয়েছিলেন এই সম্মানী। দশ লাখ ডলার গুনে নিয়েছিলেন তিনি। 
টেইলরের জন্ম উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের একটি অভিজাত এলাকায় - হ্যাম্পস্টেডে। তিনি ছিলেন তার বাবা ফ্রান্সিস লেন টেইলর  ও মা সারা ভায়ালা ওয়ার্মব্রডের ছোট মেয়ে। টেইলরের বড় ভাই হাওয়ার্ড টেইলর জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালে। 
তাদের আমেরিকান মা-বাবা এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আরাকানস সিটি থেকে। তারা জন্মসূত্রে মার্কিনী হলেও বাস করতেন ইংল্যান্ডে। টেইলরের বাবা পেশায় ছিলেন একজন ছবির ডিলার এবং মা ছিলেন মঞ্চ অভিনেত্রী, মঞ্চে যাঁর নাম ছিলো সারা সদার্ন। যখন ফ্রান্সিস টেইলরের সঙ্গে ১৯২৬ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে সারার বিয়ে হয়, তারপর সারা মঞ্চকে বিদায় জানান।
টেলর কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০০৪ সালে ঘোষণা করা হয় যে, তিনি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন এবং ২০০৯ সালে তাকে কার্ডিয়ক সার্জারীর মাধ্যমে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়। 
ফেব্রæয়ারি, ২০১১ সালে হৃদযন্ত্রের সমস্যার দরুন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিডারস-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। মার্চ ২৩, ২০১১ সালে টেলর চার সন্তানকে রেখে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসের সিডারস-সিনাই মেডিক্যাল সেন্টারে ৭৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন। সুগন্ধীর প্রতি বিশেষ দুর্বলতা ছিল এলিজাবেথের। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি নিজের জন্য আলাদা সুগন্ধী তৈরি করেছিলেন। ভক্তরা তার তৈরি সেই পারফিউমের নাম দিয়েছিলেন ‘ভায়োলেট আইজ’।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!