গত কয়েকদিন ধরেই ঢালিউডের সবচেয়ে বড় খবর ‘শাকিব খানের বিয়ে’! সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, খুব শিগগিরই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে সংসার ভাঙনের পর নায়ককে নতুন করে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে তার পরিবার।
শাকিবের বিয়ের খবরে যখন গোটা শোবিজ অঙ্গন উত্তাল, তখন নীরব ভূমিকায় রয়েছেন তার প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস। গেল ঈদেও শাকিব বন্দনায় মুখর ছিলেন অপু। জানিয়েছিলেন, প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের গল্প।
তবে হঠাৎই শাকিবের বিয়ের খবরে যেন নিশ্চুপ এই নায়িকা। গেল কয়েকদিনে একাধিকবার অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও শাকিব খানের ‘বিয়ে’ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
আলাপচারিতায়, অপু বিশ্বাসকে শাকিব খানের বিয়ের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে শুরুতে এ ধরণের কোনো সংবাদ দেখেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতেও রাজি হননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাকিবের পরিবার চাইছে না তার জীবনে অপু বিশ্বাস বা বুবলীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকুক। সে কারণেই নায়ককে নতুন করে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবার থেকে ইতোমধ্যেই পাত্রী দেখা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে অপু বিশ্বাস কোনো মন্তব্য না করলেও শাকিবের বিয়ের খবরে মুখ খুলেছেন শবনম বুবলী। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তার বিয়ের বিষয়ে আমার কথা বলার কোনো ইচ্ছে নেই। বিগত কয়েক বছরে শাকিব খানের বিয়ে নিয়ে এতবার শুনেছি, যে কয়েকদিন পর আমার সন্তান শেহজাদ খান বীর এই প্রশ্ন শুনলে বলবে ‘নো কমেন্টস’।
কয়েকদিন আগেও এক সাক্ষাৎকারে নিজেকে শাকিবের বৈধ স্ত্রী বলে দাবি করেছেন বুবলী। সে সময় এই নায়িকা বলেন, ‘আমার ও শাকিবের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়নি। আমরা দুজনেই সময় নিচ্ছি। সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্য যেটা মঙ্গল হবে, সেটাই সিদ্ধান্ত নেব।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে গোপনে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খান। তাদের সেই সংসারে রয়েছে একটি পুত্র সন্তান। বিয়ের ১০ বছরের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে এই দম্পতির সংসারে। এরপর চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর গলায় মালা দেন শাকিব। সেই সংসারেও রয়েছে একটি সন্তান। কিন্তু বুবলীর সঙ্গেও শাকিবের সংসার স্থায়ী হয়নি। কয়েক বছরের মধ্যেই আলাদা হয়ে যান এই জুটি।
আপনার মতামত লিখুন :