রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘রান্না দ্রুত শেষ করতে বলায়’ জবি ছাত্রীকে সিনিয়রের কিল–ঘুষি

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম

‘রান্না দ্রুত শেষ করতে বলায়’ জবি ছাত্রীকে সিনিয়রের কিল–ঘুষি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রান্নাঘরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকালে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রী হলের হাউস টিউটর ও প্রোভস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

এদিকে মারধরের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে এক সাংবাদিক মোবাইল ফোনে কলে দিলে তার এক বন্ধু দেখা নেওয়ার হুমকি দেন। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের অভিযুক্ত তাসমিম সানজানা সৃষ্টি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বন্ধু ফাহিম ইশতিয়াক মার্কেটিং বিভাগের ২০১৬-১৭ ব্যাচের ছাত্রী। আর অভিযোগকারী ইতি খাতুন সংগীত বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

অভিযোগকারী ইতি খাতুন বলেন, ‘আমি রান্না করছিলাম। পরে চুলা ফাঁকা থাকায় সৃষ্টি আপু ডিম ভাজতে চাইলে ছেড়ে দিই। কিন্তু রান্না শেষ করতে দেরি হওয়ায় ও আমার ক্লাসের সময় হওয়ায় দ্রুত রান্না শেষ করতে বলি। কিন্তু আমি জুনিয়র বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়। আমরা মরা বাপ তুলেও গালি দেয়। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চড় থাপ্পড়, কিল ঘুষি মারে। আমার পরের ঘটনা মনে নেই অজ্ঞান হয়ে যাই।’

অভিযুক্ত তাসমিম সানজানা সৃষ্টি বলেন, ‘জুনিয়র হয়ে ইতি বেয়াদবি করে। আমার সামনে তেড়ে আসে। এজন্য আমি কী বসে থাকব। আমিও মাইর খাইছি, আমিও অভিযোগ দিছি।’

এদিকে শিক্ষার্থী ইতির বক্তব্য নেওয়ার পর অভিযুক্ত সৃষ্টির কাছে ফোন দেন সাংবাদিকরা। এ সময় ভোরের কাগজের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রকি আহমেদকে (১৩ ব্যাচ) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। এ নিউজ করলে মামলার হুমকি দেওয়া হয়।

কল রেকর্ডে শোনা যায়, ফাহিম ওই সাংবাদিককে মোবাইল বলেন, ‘এই নিউজ যদি হয়, তুই যদি জড়িত থাকিস তোর খবর আছে। তোর নামে মামলা হবে। তোর লাইফ কীভাবে হেল করতে আমি দেখব। তোর সাহস কি। এই চু. . পোলা। তুই আজ দেখা কর। তোর খবর আছে।’

এ বিষয়ে ইশতিয়াক বলেন, ‘ওই সাংবাদিক আমার বান্ধবিকে কল দেয়। বান্ধবি কান্নাকাটি করে আমাকে সমস্যা সমাধান করতে বলে। তাই আমি ওই সাংবাদিককে কল দিয়ে কথা বলি। উত্তেজিত হয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ফেলেছি।’

ছাত্রীকের মারধরের বিষয়ে হল প্রভোস্ট দীপিকা রানী বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। হলের শৃঙ্খলা কমিটিতে এটা তোলা হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি একটি নিন্দনীয় কাজ। সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত কাজ করবে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!