প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লটারির টিকিট বিক্রি করায় ৩ জনের জেল ও মেলায় সিল গালা

নীলফামারী প্রতিনিধি: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা  অমান্য করে লটারিরটিকিট বিক্রি করায় অটোচালক সহ ৩ জনের ২ দিনের জেল দিয়েছে নীলফামার ভ্রাম্যমান আদালত। জানা যায় গত ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার সন্ধ্যায় নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের দোগাছি নামক জায়গায় ক্ষুদ্র কুটির শিল্প মেলা উদ্বোধন করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এবং পরের দিন ৮ জুন থেকে শুরু হয় র‌্যাফেল ড্র এর নামে লটারি জুয়া। সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অটোরিকশায় মাইকিং করে টিকিট বিক্রি করে গোটা জেলার আনাচকানাচে প্রায় দেড়শত অটোরিকশায় এই লটারির টিকিট বিক্রি করে। আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরিক্ষা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মেলার মাইকিং করে জুয়া বন্ধ করতে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সোসাল মিডিয়ায় নিউজ করলে প্রশাসন সাথে সাথে মেলায় লটারি গত ১৪ জুন শনিবার বিকেলে বন্ধের নির্দেশ দেন।কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে লটারি চালিয়ে যান। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৫ জুন রবিবার সকাল থেকে পুনরায় সারা জেলায় লটারির টিকিট বিক্রয় শুরু করে মেলার মালিক তাহের, মামুন, আঙ্গুর। ঘটনাটির বিষয়ে জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি পারভেজ উজ্জ্বল তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিলে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের নজরে আসে এবং তাৎক্ষণিকভাবে দুটি অটো তারা আটক করে প্রশাসন কে খবর দিলে আজ রবিবার দুপুর ২টায় নীলফামারী সদরের খালুয়ার ব্রিজ নামক স্থানে পুলিশসহ অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক লটারির টিকেট ও টিকেট রাখার বক্স জব্দ করা হয়। সরকারি আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে টিকেট বিক্রি ও প্রচারণা করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাৎক্ষনিকভাবে তিনজনের প্রত্যেককে দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক অনুযায়ী দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২শত টাকা করে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এবং জেলা প্রশাসন থেকে সম্পূর্ণভাবে মেলা বন্ধের নির্দেশ দেন, সেই নির্দেশনাও মেলা কর্তৃপক্ষ অমান্য করে মেলা চালিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে নয়টায় সেনাবাহিনী গিয়ে মেলা সিলগালা করেন। দন্ডিতরা হচ্ছেন নীলফামারী পৌর এলাকার টুপির মোড়ের হামিদুল ইসলামের ছেলে জাহানুর রহমান(২৭), সদরের পলাশবাড়ীর নটখানা এলাকার নিরব চন্দ্র রায়ের পুত্র তপন চন্দ্র রায় (১৯) এবং একই এলাকার মোঃ আজিজুল ইসলামের ছেলে মো,শিপন ইসলাম। এইচএসসি পরিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারীর নেতৃবৃন্দ কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মেলা বন্ধের বিষয়ে মসিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী পুরবী রানি জানান, বিগত সাতদিন ধরে মাইকিং এর কারণে পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি স্বপ্না আকতার স্বর্ণালি শাহ্ ডেইলি খবর ২৪ ডটকমকে বলেন, সামনে এইচএসসি পরিক্ষার বিষয় টি সামনে রেখে নীলফামারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক মেহেদী হাসান আশিক সদস্য সচিব সম্পাদক প্রান্ত, সমন্বয়ক গোলাম আজম, বাবু ও ইসমাইল এই লটারি বন্ধ করেছে তার জন্য নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সেই সাথে কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত না করে, মেলা থেকে লটারি নামক জুয়া ও মেলা বন্ধ করতে সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো,সাইদুল ইসলাম কে অভিনন্দন জানান জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন।