সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকারের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম

সরকারের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহবান করে বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আমি কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি কোনো সংঘাত চাই না। 
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর দেশের জরুরি অবস্থা ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, ‘১৯শে জুলাই আমরা কারফিউ ভঙ্গ করে শাটডাউন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের সে বক্তব্য কোনো মিডিয়ায় প্রচার করতে দেয়া হয় নাই। সে রাতে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়, এ ঘোষণার জন্য এবং আন্দোলন প্রত্যাহার ও সরকারের সাথে আলোচনায় বসার জন্য জবরদস্তি করা হয়।’
নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘ছাত্রজনতা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল। সরকার দমন-পীড়ন করে সেটিকে সংঘাত ও সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এবার এরকম পরিস্থিতি হলে কারো জন্যই পরিণতি ভালো হবে না।’
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক লেখেন, ‘পরবর্তীতে ডিবি অফিস থেকেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমাদের অনশন ও রাজপথে আন্দোলনের কারণে সে পরিকল্পনা সফল হয়নি। আমরা এখনো শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চাই। আমরা কোনো সহিংসতা, প্রতিহিংসা ও প্রাণনাশ চাই না। নিরাপত্তা বাহিনীকেও এর জন্য সহযোগিতা করতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রাজপথে দেখা গেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এর দায়ভার নিতে হবে।’
নাহিদ লেখেন, ‘রক্ত ঝড়লে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা ন্যায়বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। কোনো ধরনের দমন-পীড়ন, প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্র করে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। জরুরি অবস্থা বা কারফিউ ছাত্র-নাগরিক মেনে নিবে না। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি চাইলে গুলি ও হামলা করার নির্দেশ বন্ধ করতে হবে। অসহযোগ আন্দোলনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘খুনি সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসারও সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে। যখন সময় ছিল তখন সরকার বøক রেইড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দীদের কারাগারে রেখে আমরা কোনো ধরনের সমঝোতায় যাবো না।’
তিনি আরো লেখেন, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান থাকবে খুনি সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্র-নাগরিকের পাশে থাকুন। সরকার জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ালে সেই সরকারের হুকুম শুনতে আপনারা আর বাধ্য নন। ছাত্রদের সাথে মিছিলে যোগ দিন। আমরা পুলিশ নয়, হুকুমের আসামিকে কাঠগড়ায় দাঁড়া করাতে চাই। নিরাপত্তা বাহিনীকে মিছিলে যোগদানের আহ্বান থাকবে। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে আজকের বিক্ষোভ ও আগামীকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচী সফল করুন।’

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!