রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

দেশে বজ্রপাতের বেড়েছে ১০ শতাংশ, বছরে মৃত্যু সাড়ে ৩’শ

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ১২:০৪ এএম

দেশে বজ্রপাতের বেড়েছে ১০ শতাংশ, বছরে মৃত্যু সাড়ে ৩’শ

বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ বেড়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। এ সংক্রান্ত মৃত্যু বছরে প্রায় ৩৫০ জন। এ লক্ষ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু হ্রাসে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার (২৮ জুন) আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘শুনলে বজ্রধ্বনি,ঘরে যাই তখনই’ স্লোগানে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হলো আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস।
সেমিনারে আবহাওয়াবিষয়ক আন্তঃসরকার সংস্থা রাইমসের (রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম) আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ খান মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী বলেন, বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৩.৩৬ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হলো সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) পূর্ণাঙ্গ একটা অধিদপ্তর করার কাজ চলছে। শুধু ঘূর্ণিঝড়ের জন্য না, সব দুর্যোগের জন্য যে অধিদপ্তর হবে- সেটা হবে সিপিপি। এর কাজ হবে সারাদেশে সচেতনতা থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য স্থানীয় ভলেন্টিয়ারকে যুক্ত করা। শুধু একটা বিষয়ে জন্য না, সমস্ত বিষয়ের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।
জনসচেতনতা গড়ে তুলতে বজ্রপাতের সময় করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়। এসময় বলা হয়, বজ্রপাতের একাধিক শব্দ শোনার পর সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে, সেই মুহূর্ত থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় নিরাপদ থাকার জন্য।
এছাড়া, আকাশ মেঘলা হলে বা বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেলে দ্রæত ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে, বাইরে অবস্থান করলে মাটিতে না শুয়ে, আশ্রয় না পেলে নিচু হয়ে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। জলাশয়ে থাকলে নৌকার ছইয়ের নিচে অবস্থান করতে হবে। ছই না থাকলে নৌকার পাটাতনে যতটা সম্ভব কম স্পর্শ রেখে বসতে হবে। বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে ও জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে। গাছের নিচে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক। ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে।বজ্রপাতের সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ সম্পর্কে জানানো হয়, উন্মুক্ত স্থানে টানানো তাঁবু, চারপাশ খোলা চালাযুক্ত স্থান, খোলা ও ধাতব কাঠামোর যাত্রী ছাউনি ও ছাতা ব্যবহার করাও ঝুঁকিপূর্ণ।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!