হারুন অর রশিদ দুদু, শেরপুর :‘আমরা এই ক্ষতিপূরণ চাই না, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও এই মহারশি নদীতে একটা স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই। এই বেড়িবাঁধ না হলে, আমাদের স্থায়ী সমস্যার সমাধান কোনোদিনও হবে না। সরকারের কাছে অনুরোধ করি, আমাদের এই নদীর দুই পাড়ে বেড়িবাঁধ করে দিতে।’ আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাড়ি-ঘর হারানো প্রায় শত শত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীগণ। প্রতিবছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও পানির প্রবল স্রোতে মহারশি নদীর পাড় ভেঙে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বসতভিটাসহ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতি হয় ফসলি জমির ধান ও সবজি। এছাড়াও মৎস্য চাষের ক্ষতি হয় ব্যাপক। স্থানীয়রা বলেন, প্রতি বছরই মহারশি নদীর পানির তোড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এর স্থায়ী সমাধান না হলে জানমালের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। দ্রæত একটি বেড়িবাঁধ দেওয়া না হলে ভবিষ্যতেও অনেক বড় ক্ষতি হবে ঝিনাইগাতীবাসীর। মহারশি নদীর ভাঙনের ফলে প্রতি বছর বর্ষার সময় ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ, সরকারি দপ্তর ও সদর বাজার হুমকির মুখে পড়ে। এই পাড় ভেঙেই পুরো ঝিনাইগাতী তলিয়ে যায়। বাজার ভেসে যায়, ব্যবসায়ীদের ভয়াবহ ক্ষতি হয়। তাই মহারশি নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ খুবই প্রয়োজন। ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন বলেন, এই বাঁধটি ঝিনাইগাতীবাসীর প্রাণের দাবি। এই নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্রতি বছর প্লাবিত হয়। এই তীর ভেঙেই পুরো ঝিনাইগাতীতে পানি প্রবেশ করে। এখানে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরি। স্থানীয়দের দাবি, মহারশি নদীর বুকে জমা পলি খনন করে নদী শাসনের ব্যবস্থা করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। প্রতি বছর এই ভাঙনের ফলে দুই তীরের আবাদি জমি, বসতভিটাসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। দীর্ঘ এক যুগ ধরে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও এখনও বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :