শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

প্রকৃতির টানে সীমান্তরেখা ভুলে যাচ্ছেন আগত পর্যটকরা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

প্রকৃতির টানে সীমান্তরেখা ভুলে যাচ্ছেন আগত পর্যটকরা

দেশের নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচগাঁও পাহাড়ে এলাকায় দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা প্রকৃতির টানে সীমান্তরেখা ভুলে যাচ্ছেন।পাহাড়-ঝর্ণা-সবুজের সমাহার ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে এখন জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে কমলাকান্দা।
বর্ষায় এই অঞ্চলে পর্যটকের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। পাহাড়ি ঝর্ণায় গোসল ও সীমান্তঘেঁষা চন্দ্রডিঙ্গা ছড়ার টানে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসু লোকজন। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে ভুল করে অনেকেই চলে যাচ্ছেন ভারত সীমান্তে। এমন দৃশ্য সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, ঝর্ণাগুলো সীমান্ত রেখার খুব কাছেই পড়েছে। তাই অনেক পর্যটক অনিচ্ছা কিংবা কৌতূহলবশত সীমান্ত পেরিয়ে যাচ্ছেন। যদিও বিজিবি সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে, চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পর্যটকদের সতর্ক করতে সাইনবোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসেন পাহাড় ও ঝর্ণা দেখতে। আমরা চেষ্টা করি, পর্যটকদের সহযোগিতা করতে। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অনেকে সীমান্তের শূন্যরেখার দিকে চলে যান।’
সোমেশ্বরী নদী, সাদামাটির পাহাড়,পাতলাবন, মহাদেব নদ, লেঙ্গুরা-প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা নেত্রকোনার সীমান্ত অঞ্চল। তবে সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল। এক বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে চন্দ্রডিঙ্গা রিসোর্ট। ফলে ভ্রমণকারীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। পর্যাপ্ত রেস্ট হাউস, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় পর্যটনের সম্ভাবনা থাকা সত্বেও উন্নয়ন এগোয়নি। পর্যটকদের দাবি, এসব স্থানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা হলে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণে রূপ নিতে পারে পাঁচগাঁও পাহাড় ও আশপাশের স্থানগুলো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকেই সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় পর্যটন শিল্প বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বন্ধ রেস্ট হাউস দ্রæত চালু করা হবে।পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও পর্যটকদের জন্য সুবিধা বাড়ানো হবে।ছবি-সংগৃহীত
 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!