পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী : গ্রীষ্মকালের শুরুতে তেমন গরম না থাকলেও জৈষ্ঠ্যমাসে গরম শুরু হয় সেটা বেশি অনুভুত হয় পবিত্র ঈদুল আজহায় কিন্তু রাতের বেলায় বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে দেয় প্রকৃতি। কিন্তু গত ২৫ জৈষ্ঠ্য থেকে আজ ২৯ জৈষ্ঠ্যে নীলফামারীতে প্রচন্ড তাপপ্রবাহ বইছে এ তাপদাহের জন্য নীলফামারী জেলার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রিক্সা ও অটোরিকশা ছাড়া কেউই দিনের বেলায় রাস্তাঘাটে চলাচল করছেনা তাতে ব্যস্ত শহরে কর্মতৎপরতা কমেছে। আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচন্ড গরমে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির লোকেরা পড়েছে বিপাকে। ঈদের ছুটিতে সবকিছুই বন্ধ তার উপর এই গরম কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উচ্চ বিত্তবান শ্রেণীর মানুষেরা ভীষণ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। নীলফামারী সদরের পৌর এলাকার বাজার ট্রাফিক মোড়ের রিকশা চালক জাহাঙ্গীর বলেন, যা কামাই হইছে ঈদের আগত আর ঈদের পরেরদিন। তারপর থাকি গরম বাড়ার সাথে সাথে চেংরা চেংরী সব গাইব, এই তিনদিন ধরি ভারার টাকায় ঠিক মতন হয়ছেনা, সেইজন্য রিকশা চালায় কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রচন্ড গরমে নীলফামারী সদর হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর কারণে নাভিশ্বাস উঠেছে। আবহাওয়া সুত্র মতে এইরকম গরম আরও দুইদিন থাকতে পারে এবং রাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
প্রচন্ড গরম ও তাপ দাহে বয়স্ক ও শিশুদের বিষয়ে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবু আল হাজ্জাজ ডেইলি খবর ২৪ ডটকমকে বলেন, এই গরমে বেশি করে বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের ছায়ায় থাকতে হবে, বেশি বেশি করে তরল পানীয় পান করতে হবে। সুতি কাপড়ের পোশাক পড়তে হবে এবং যদি স্বাস্থ্যের অসুবিধা মনে হয় তাহলে সাথে সাথে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :