বিপ্লব দাশ,বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কোয়ান্টামমে উদযাপিত হয় জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। উৎসবমুখর পরিবেশে হাজারো মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে ২১ ডিসেম্বর (রবিবার)সূর্যোদয়ের পর পরই কুয়াশাস্নাত আরোগ্যশালায় সমবেত হন কোয়ান্টামমের সকল পর্যায়ের কর্মী, শিক্ষার্থী, অতিথি, প্রতিবেশী।এবারের বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল: মন ভালো তো সব ভালো।
সমস্বরে তিনটি প্রত্যয়ন বাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়: ১. ভালো ভাবব, ভালো বলব, ভালো করব, ভালো থাকব। ২. ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ ৩. প্রতিটি কাজ আমি সবচেয়ে ভালোভাবে করব। এরপর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মাদাম নাহার আল বোখারী তার অডিও শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরস্পরের পরিপূরক। সব দিক দিয়ে ভালো থাকতে হলে মনকে ভালো রাখতে হবে। আর মন ভালো রাখার জন্যে প্রয়োজন মেডিটেশন।
কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বিশেষ অডিও আলোচনায় বলেন, ব্যক্তি মন যদি ভালো থাকে, মনে যদি প্রশান্তি থাকে তা হলে পরিবারে শান্তি আসবে, সমাজে শান্তি আসবে, বিশ্বে শান্তি আসবে। এখানেই মেডিটেশন সবচেয়ে সহায়ক শক্তি। ওষুধ, পিল, ইনজেকশন, থেরাপি যা পারে না, মানুষের মন ভালো রাখার সে কাজটি যুগ যুগ ধরে করছে মেডিটেশন। এখনকার ডিজিটাল জীবনে বিলাস ও স্বাচ্ছন্দ্যেরও গতি বেড়েছে। কিন্তু ব্যক্তির মন আক্রান্ত হয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ক্ষুব্ধতা, ট্রমা, ভয়, আতঙ্ক, রাগ, অনিশ্চয়তা, বিষন্নতা ও একাকিত্বে। মনের এই দূষণই শতকরা ৭৫ ভাগ রোগ সৃষ্টি করে। সারা পৃথিবীর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাই এখন একমত যে, মনোগত ও মনোদৈহিক এই রোগগুলো থেকে মুক্তিরই পথ দেখায় মেডিটেশন।
আরোগ্যশালার মঞ্চ এবং বর্ণিল পাথরের ওপর বসে বিশেষ গাইডেড মেডিটেশনে নিমগ্ন হন সব বয়সের নারী-পুরুষ-শিশু। মেডিটেটিভ লেভেলে নিজেদের মনের দূষণগুলোকে এক এক করে বের করে দিয়ে অপূর্ব এক প্রশান্তির অনুভূতিতে আপ্লুত হন সবাই।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৯শে নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মত প্রস্তাবে ২১শে ডিসেম্বরকে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোয়ান্টাম ২০২৫ সালকে ঘোষণা করে ‘দ্য ইয়ার অব মেডিটেশন হিসেবে।

ডেইলি খবরের সর্বশেষ নিউজ পেতে Google News অনুসরণ করুন।
আপনার মতামত লিখুন :