হাতিয়া প্রতিনিধি: মেঘনা নদীতে জেলের জালে এবার ধরা পড়ল চার কেজি ওজনের এক বিরল ‘রানি ইলিশ’। স্থানীয় বাজারে মাছটি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশটি জেলে মো. নুর উল্লাহর জালে ধরা পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হতেই বাজারে ভিড় করেন শত শত মানুষ। কেউ ছবি তোলেন, কেউ কৌতূহলী দৃষ্টিতে বড় আকারের এ ইলিশ এক নজর দেখার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অভিজ্ঞ জেলে মো. নুর উল্লাহ প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে মেঘনা নদীর চরে জাল ফেলেন। দুপুরের দিকে ভাটা নামলে জাল টেনে তুলতে গিয়ে তিনি অবাক হন। সাধারণত তার জালে পোয়া, রূপচাঁদা বা মাঝারি আকারের কিছু সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ে। কিন্তু সোমবার জালে উঠে আসে চার কেজি ওজনের রানি ইলিশ।
ভালো দামের আশায় তিনি দ্রæত মাছটি চেয়ারম্যান ঘাটের আল্লাহর দান মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। সেখানে মাছটি ঘিরে হৈচৈ শুরু হয়। উপস্থিত ক্রেতারা নিলামে প্রতিযোগিতায় নামেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় জমিদার হাজী বেপারি ১০ হাজার টাকায় ইলিশটি কিনে নেন।
জেলে নুর উল্লাহ বলেন, আমার জীবনে এত বড় ইলিশ কখনো ধরা পড়েনি। আমরা সাধারণত ছোটখাটো মাছই পাই। আজ চার কেজির ইলিশ পেয়ে খুব খুশি হয়েছি। ভালো দামে বিক্রি করতে পারলাম, আলহামদুলিল্লাহ। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের দিন।
আল্লাহর দান মৎস্য আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. আকবর বলেন, বর্তমানে নদীতে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়া দুষ্কর। মৌসুমের ভরা সময়েও মাছের সংকট চলছে। জেলে, ব্যবসায়ী, আড়তদার ও শ্রমিক সবাই আর্থিক চাপে জর্জরিত। এমন সময় হঠাৎ করে এত বড় ইলিশ ধরা পড়া আনন্দের বিষয়। এ ধরনের মাছ বাজারে এলে জেলে ও ব্যবসায়ী উভয়ের মুখে হাসি ফোটে।
হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফাহাদ হাসান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার যে সময়ভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মাছ সংরক্ষণের পদক্ষেপ নিয়েছে, এর সুফল আমরা পাচ্ছি। নদীতে বড় আকৃতির মাছ বাড়ছে। এভাবে সংরক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সামনে আরও বেশি বড় ইলিশ ধরা পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :