সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল প্রায় ৫ কোটি টাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক

ডেইলি খবর ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম

উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ল প্রায় ৫  কোটি টাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: প্রায় ৫ কোটি  টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত লাগোয়া মেরিন ড্রাইভ সড়কটির বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভেঙে গিয়েছে।সমুদ্রের পানির তীব্র স্রোতের কারণে দৃষ্টিনন্দন এই সড়কটি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার আগেই বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ধস দেখা দিয়েছে যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের জন্যই সড়কটি আজ এ অবস্থা।উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর।সমুদ্র উত্তাল থাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়ক এবং পাশের সবুজায়ন প্রকল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি দ্রæত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটি।
সরজমিনে মেরিনড্রাই সড়ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,ডিসি পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কের কয়েকটি অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।সমুদ্রের পানির তোরে রাস্তার নিচের বালি সরে গিয়ে কয়েকটি অংশ ধসে গিয়েছে।রাস্তার পাশে হাঁটার জন্য যে ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছিল সে ফুটপাতের অনেক অংশই ভেঙ্গে সৈকতে আছড়ে পড়েছে।
সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটাকে পর্যটকদের কাছে দৃষ্টিনন্দন করতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রায় ১৩০০ মিটার এই সড়কটির কাজ শুরু করেন তৎকালীন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার।ঠিকাদার হিসেবে সাদ্দাম মালের নাম থাকলেও তিনি এ কাজটি অন্য এক ঠিকাদারকে দিয়ে দেন।স্থানীয়দের অভিযোগ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছে এই সড়কটিতে।যে কারনে পানির স্রোতেই সড়কটির এই বেহাল অবস্থা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম বলেন,এত টাকা খরচ করে কাজ করা হয়েছে, অথচ উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেলো।সঠিকভাবে যদি ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হতো তাহলে রাস্তাটি এত দ্রæত ভেঙে যেত না। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে যারা এই রাস্তাটি নির্মাণের সাথে জড়িত তাদের যাতে জবাবদিহির ভিতরে আনা হয়।ইতিমধ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান,লঘুচাপের প্রভাবে পানির উচ্চতা বেড়েছে,এবং সমুদ্রের পানির তীব্র স্রোতের কারণে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি ভাঙনের মুখে পড়েছে।আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া তিনি আরো বলেন, সড়কটির শতভাগ বিল এখনো পরিশোধ হয়নি।নতুন পৌর প্রশাসক নিয়োগের পর অনেকবার রাস্তার বাকি বিল নেয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে তদবির করানো হয়েছে।রাস্তাটির বাকি বিল ও জামানত জমা আছে।আমরা অবশ্যই ক্ষতিপূরণ আদায় করব।
 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!