চলতি মে মাসেই আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। আঘাত হানতে পারে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে। এ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার তথ্য জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর নামটি দিয়েছে ওমান।ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামী ২৫ মে সন্ধ্যার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে।
এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড়ে আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড় পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়র জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়র ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় `রেমাল` আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বর্ষা আসার আগে এপ্রিল থেকে মে মাস এবং বর্ষা বিদায়ের পর অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে বঙ্গোপসাগরসহ যেকোনো মহাসাগর অনুকূল থাকলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন হুটহাট করে সৃষ্টি হয় না। উৎপত্তি গ্রীষ্মমলীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ক্কসে এর উপরে থাকা প্রয়োজন। অধিকাংশ ঘূর্ণিঝড়র উৎপত্তি ঘটে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি অঞ্চল থেকে।
আপনার মতামত লিখুন :