মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২

এবার বিপৎসীমার নিচে নেমেছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১০:২২ এএম

এবার বিপৎসীমার নিচে নেমেছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

দেশের উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারীতে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এর একদিন পর এসে এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে কমেনি ডালাবিত গ্রামের মানুষের কষ্ট, নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা৫২দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে গতকাল রবিবার রাত ১১টায় পানিপ্রবাহ ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা বলছেন, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল ডøাবিত হয়ে হাজারও পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ডুবে যায় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ। রোববার রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার সকাল থেকে পানি নেমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমে গেলেও নতুন করে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 
তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে তবে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে মানুষজন। 
ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তিস্তার পানি হঠাৎ করে গতকাল বাড়তে শুরু করে ঘরবাড়ি তুলিয়ে যায়। আজকে সকালে ঘরবাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে পানি নেমে যাওয়ায় ভাঙন বাড়বে।  
আরেক বাসিন্দা জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কমতে শুরু করলে ভাঙন দেখা যায়। গতকাল রাতে পানি ঘরবাড়িতে ডুকেছিল আজকে সেটি নেমে যেতে শুরু করেছে। তিস্তার পানি কমে যাওয়ার ভাঙনের আতঙ্ক রয়েছে। 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। রবিবার (৫ অক্টোবর) রাত ১১টায় পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। আজ (সোমবার) সকালে পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল তিস্তার পানি বেড়ে আজকে সকালে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহ হচ্ছে। পানি বাড়ার সম্ভবনা নেই ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি নামতে শুরু করায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।ছবি-সংগৃহীত

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!