পারভেজ উজ্জ্বল,নীলফামারী :খালি কয় উন্নয়ন, ওটা হইছে কোনঠে? যা হইছে ঐ ঢাকাত ` কথাগুলো বললেন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের খোদেজা বেগম।সরজমিনে দেখা যায়,ডোমারের সোনারায় ইউনিয়নের হংশরাজ কলমদর নদীর উপরে একটি বাঁশের সাকো সেটা দিয়ে দুই তীরের ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। সেই সাকো দিয়ে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ পারাপার করে।আর সেই বাঁশের সাকোটি এখন মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
প্রতিদিন শতশত স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ নড়বড়ে এই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। বেশ কয়েকবার সাঁকো ভেঙ্গে অনেকে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। বর্ষার মৌসুমে প্রতিবছর সাঁকোটি ভেঙ্গে গিয়ে নদীতে ভেসে যায়। তখন কলার ভেলা ও সাঁতার কেটে নদী পারাপার হন। শিক্ষার্থীদের বই খাতা, কাপড় চোপড় ভিজে যায়, পাঠদানে যেতে পারে না। এটি জেলা শহর ও ডোমার উপজেলায় যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। দুভোর্গ থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় সহ হাজারো পথচারী একটি ব্রীজের দাবী জানান।
স্থানীয় স্কুল মাস্টার অনিল রায়ের সাথে কথা হলে তিনি ডেইলি খবর ২৪ ডটকমকে বলেন, সাঁকোটির পশ্চিম দিকে ডুগডুগি বাজার,চওড়া হাট,বসুনিয়ার হাট,তরনীবাড়ী গ্রাম ও পূর্বদিকে ধরনীগঞ্জ বাজার, ইউনিয়ন পরিষদের ভবন,কালিতলা,বাবুর হাট সহ আরো অনেক গ্রাম ও শহরের সংযোগ রয়েছে। আমরা প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাওয়া আসা করি। সাঁকোটি নড়বড়ে হওয়ায় ভারী মালামাল নেওয়ার কোন উপায় নেই, ৬ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এলাকার বাসিন্দা রবি, নুরুল জানান,একটি ব্রীজের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারকে বলে কোন লাভ হয়নি। দিনের পর দিন শুধু আশ্বাস দেন,কিন্তু ব্রীজের কোন খোঁজ খবর নাই।
স্থানীয় ব্যক্তি রেজাউল কবিরের সাথে সরজমিনে কথা হলে তিনি বলেন,বাঁশের সাঁকোটির ওপরে একটা ব্রীজ হলে এই এলাকার জীবন মান সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। সাঁকোটির দুই তীরে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা,হাট বাজার রয়েছে। ব্রীজের অভাবে আজ প্রায় ২০ হাজার মানুষ দুভোর্গে যাতায়াত করেন। বষার্র মৌসুমে কলার ভেলায় পারাপার হতে হয়। এই সাঁকো পারাপারে দুর্ঘটনায় পরে অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে এই নদীর ওপড়ে ব্রীজ দিলে আমরা মরণ ফাঁদ থেকে রেহাই পাবো।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি নদীর ওপড়ে বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে মরণ ফাঁদ হয়ে রয়েছে। এখানে একটা ব্রীজের জরুরী প্রয়োজন। ব্রীজের জন্য কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ হাসানের সাথে কথা হলে তিনি ডেইলি খবর ২৪ ডটকমকে বলেন,বিষয়টি নিয়ে কেউ আসেনি, তবে আমার কাছে এবিষয়ে আবেদন আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আপনার মতামত লিখুন :