বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২

যশোরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বেড়েছে হয়রানি চাঁদাবাজি ও র্দুব্যবহার

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৫, ১০:১৪ এএম

যশোরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বেড়েছে হয়রানি চাঁদাবাজি ও র্দুব্যবহার

যশোর প্রতিনিধিযশোরে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বেড়েছে হয়রানি চাঁদাবাজি। শহরের ব্যস্ততম সড়কের প্রবেশ মুখে লেগেই থাকে জানজট। অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা ও নসিমন করিমনে ভরে গেছে শহর। রাতে নিদিষ্ট সময়রে আগে শহরে প্রবেশ করছে ভারি যানবাহন। এসব অবৈধ কর্মকান্ড দেখার কেউ নেই।
ট্রাফিক অফিস সূত্রে জানা যায় ,যশোর ট্রাফিকে বর্তমানে লোকসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৮০ জন। এর মধ্যে পরিদর্শক ৫ জন, সার্জেন্ট ৭ জন, টিএসআই ৫ জন, এটিএসআই ১৪ জন ও কনসটেবল ৪৯ জন। এতো লোকবল থাকার পরও যশোর শহরে জানজট লেগেই থাকে। শহরের ব্যস্ততম সড়ক ও সড়কের প্রবেশ মুখে বিশেষ করে শহরের বটতলা¯’ সেন্ট্রাল রোডের প্রবেশ মুখে, জেনারেল হাসপাতালের সামনে, চিত্রা মোড়, মুজিব সড়কের প্রবেশ মুখে, সিভিল কোর্ট মোড়ে, শহরের চেরাস্তা মোড়ে কোতয়ালি মডেল থানার সামনে, শহরের মনিহার এলাকায় যত্রতত্র ভাবে রাস্তার উপর বেআইনি ভাবে ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশা দাড়িয়ে থাকে। এসব অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকসা ও ইজি বাইকের কারণে প্রতিনিয়তই শহরে জানজট লেগে থাকছে। আরও ঘটছে ছোট বড় র্দুঘটনা। বিশেষ করে জেনারেল হাসপাতালের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ন ¯’ান। মুমুর্ষূ রোগীদের এ পথ দিয়ে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু রাস্তার উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা ইজি বাইকের বেআইন অবস্থানের কারণে রোগী হাসপাতালে নেয়াতো দুরের কথা এরাস্তা দিয়ে চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে। আর এসব কিছুই ঘটছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সামনে। অথচ তারা দেখেও নিঃক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। 
অভিযোগ রয়েছে ৫ আগস্টের পর শহরে চলাচলকারি অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা, নসিমন, করিমনের চালকদেও বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ কোন আইনগত ব্যব¯’া গ্রহন করছে না। তারা চাকুরি বাঁচানোর জন্য দায় সারা ভাবে ডিউটি করে। আর এই অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা ইজিবাইক চলাচলের কারণে শহরে জানজট লেগেই আছে। ফলে জানজট নিরসন সম্ভব হচ্ছে না। এ এ ছাড়া ট্রাফিক সার্জেন্টরা থাকেন বছরে মামলার টার্গেট পূরনে ব্যস্ত। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র পরিক্ষা নিরীক্ষার নামে প্রতিনিয়তই মোটর সাইকেল চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মোটর সাইকেলের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য, ওভার লোডিং বা ভিন্ন ধারায় মামলা দেয়া হয়। বাংলায় প্রবাদ আছে আকাশে যত তারা পুলিশের তত ধারা। এক কথায় ধারার কোন শেষ নেই। এসব মামলা নিয়ে ট্রাফিক অফিসে গেলে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টরের দুব্যবহারের স্বীকার হতে হয় মোটর সাইকেল চালকদের। জরিমানার টাকা বকশিদেও রুমে জমা দিতে হয়। কম টাকা জরিমানার কথা বললে যাবা কোথায় যত রকমের র্দুব্যবহার আছে তার স্বীকার হতে আর বাকি থাকে না মোটর সাইকেল চালকের। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা গুলোতে যেমন নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহরেপুর,ও কুষ্টিয়ায় যানবাহন বা মোটর সাইকেলের মামলার জরিমানার টাকা চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। অথচ যশোর জেলায় এরকম কোন নিয়ম মানা হয় না। মামলার জরিমানার টাকা ট্রাফিক অফিসে জমা দিতে হয়। অথচ জরিমানার টাকা জমা দেয়ার কোন রশিদ বা চালানের কপি যানবাহন মালিক বা চালকদেরকে দেয়া হয় না।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এ এসপি মর্যাদার একজন অফিসার ডেইলি খবরকে জানান, জরিমানার টাকা জমা দেয়ার রশিদ জমাদান কারিকে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। যদি কেউ না দেয় সেটার ভিতর অবশ্যই অনিয়ম বা ঘাপলা আছে। এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর মাহাফুজুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন না।

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!