পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নীলফামারী পৌর পশুরহাটে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন ইজারাদার। নীলফামারী গবাদি পশুর হাটে সরকার নির্ধারিত ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কারণে ভুক্তভোগীরা নানান কথা বলছেন।আজ সেটা সরজমিন গিয়ে পাওয়া গেলো অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ। আর এই পৌর হাটের কোথাও পাওয়া গেল না সরকার নির্ধারিত ফি এর টোল আদায়ের চার্ট। জানা যায় নীলফামারী পৌরসভার গবাদি পশুর হাটের এবারের ইজারাদার সিনথিয়া পারভীন পিতা মীর মোহাম্মদ আলী, নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকা নীলফামারী। গতবারের ন্যায় এবারও সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাটে ডাকাতি শুরু করেছেন। আজ ০৪ জুন রোজ বুধবার গবাদি পশুর হাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ইজারাদার পক্ষ সরকারি নিয়মনীতির কোনরূপ তোয়াক্কা না করে প্রতিটি গরু ৬শত টাকা এবং ছাগল বকরি ১৮০ টাকা ফি নির্ধারণ করা থাকলেও তিনি গরু প্রতি ৮শত টাকা ক্রেতার নিকট থেকে এবং বিক্রেতার নিকট২ শত টাকা মোট ১হাজার টাকা এবং ছাগল প্রতি ১৮০ টাকার বদলে ৪শত টাকা নিচ্ছেন ইজারাদার। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাটে টোল চার্ট বড় বড় সাইনবোর্ড আকারে লিখিত থাকার কথা থাকলেও নীলফামারী গবাদি পশুর হাটে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ইজারাদার কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পৌর প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন হাটে আসা ভুক্তভোগীরা। হাটে আসা গরুর কশাই জামিয়ার বলেন, আমরা সারা নীলফামারীতে গরু ক্রয় বিক্রয় করি,হাটের ইজারাদার শুধু আজকের ঈদের হাট নয় প্রতিটি হাটে তারা এরকম করেই মানুষের গলা কাটেন। আরেক ক্রেতা দুলাল জানান, এরা প্রতিনিয়ত এরকম করে অথচ গতবারের চেয়ে এবার ১ কোটি টাকা কমে হাট নিয়েছে,অতিরিক্ত ফি বন্ধ করতে হলে রশিদের তালিকা হাটে টাঙ্গাতে হবে। এবিষয়ে মুঠোফোনে নীলফামারীর পৌর প্রশাসক সাইদুল ইসলাম ডেইলি খবর কে বলেন, হাটে গিয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :