সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারাল সিকদার পরিবার

ব্যবসা-বাণিজ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৪, ০৮:০৩ এএম

ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারাল সিকদার পরিবার


ব্যর্থতায় ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারাল সিকদার পরিবার। এ ব্যাংকে আগামীতে ফিরে আসার সম্ভবনাও সন্দিহান। নানারকম অব্যবস্থায় পরা ব্যাংকটি নিয়ে সমালোচনা পিছু ছাড়ছেনা। এমনি অবস্থায় গঠিত পর্ষদ মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় ফের এই ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ন্যাশনাল ব্যাংকের বিদ্যমান পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়েছিল সংস্থাটি।
৫ মে রোববার ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ও জনস্বার্থে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুনভাবে গঠন করা হলো। 
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকটির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক যেই পর্ষদ গঠন করে দিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পদত্যাগ করেছিলেন। তাই নতুন করে পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব পালন করবেন। 
ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উদ্যোক্তা পরিচালক এবং কেডিএস গ্রæপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান।  বোর্ডের অন্য নতুন সদস্যরা হলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন,প্রতিনিধি পরিচালকের মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল  (অব.) মো. সফিকুর রহমান, প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ রিয়াজুল করিম (এফসিএমএ), ব্যবসায়ী এরশাদ মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল করিম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম তফাজ্জল হক। আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, ড. রতœা দত্ত (এফসিএ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জহুরুল হুদা। আগের পর্ষদের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বাদে আর কাউকে নতুন পর্ষদে রাখা হয়নি। 
সুত্র জানায় আর্থিক নানা অনিয়মের কারণে সংকটে পড়া সিকদার গ্রæপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ সাড়ে চার মাস আগে ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে মনোয়ারা সিকদার, রন হক সিকদার, রিক হক সিকদার, নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া ও মুরশিদ কুলি খানকে বাদ দেওয়া হয়। কেবল সিকদার গ্রæপ থেকে পারভীন হক সিকদারকে পরিচালক রাখা হয়। তবে নতুন পর্ষদ থেকে তাঁকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ সিকদার গ্রæপের বাইরে চলে গেছে। 
উল্লেখ্য,সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যাংককে (এনবিএল) ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবির সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এখনই কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চাচ্ছে না ন্যাশনাল ব্যাংক। গত ২৭ এপ্রিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। এমন সিদ্ধান্তের মধ্যেই ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
 

 

ডেইলি খবর টুয়েন্টিফোর

Link copied!