মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার, পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৪৬ হাজার

প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, মে ৩০, ২০২২

শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার, পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৪৬ হাজার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের তৃতীয় ও শেষ ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া সিলেট জেলার পরীক্ষাও এই ধাপের সঙ্গে নেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ৩২ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৮ জেলার সব ও ১৪ জেলার বাকি থাকা উপজেলাগুলোয় পরীক্ষা নেওয়া হবে। তৃতীয় ধাপে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৮। পরীক্ষা শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নেওয়া হবে। তবে পরীক্ষাসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাজের জন্য পরীক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এরপর কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। শেষ ধাপে যেসব জেলার সব উপজেলায় পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, মেহেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, কক্সবাজার, ঝালকাঠি, সিলেট, ভোলা, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পঞ্চগড়। যেসব জেলার বাকি থাকা উপজেলাগুলোয় পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেগুলো হলো নওগাঁ (আত্রাই, বদলগাছী, ধামুইরহাট, মহাদেবপুর, মান্দা), নাটোর (নলডাঙ্গা, সদর, সিংড়া), কুষ্টিয়া (ভেড়ামারা, দৌলতপুর, কুমারখালী), ঝিনাইদহ (কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকুপা), সাতক্ষীরা (আশাশুনি, শ্যামনগর, তালা), বাগেরহাট (সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট, রামপাল), জামালপুর (বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী), রাজবাড়ী (বালিয়াকান্দি, সদর), পিরোজপুর (ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া), পটুয়াখালী (বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা), সুনামগঞ্জ (ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, ধর্মপাশা), হবিগঞ্জ (আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল, চুনারুঘাট), কুড়িগ্রাম (ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী, সদর, নাগেশ্বরী) ও গাইবান্ধা (সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী)। যেভাবে প্রবেশপত্র ডাউনলোড তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার্থীদের ওয়েবসাইটে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে কোনো সমস্যা হলে অফিস চলাকালে (০১৭৬৮-৬৮২২৪০, ০১৭৮৫-২৭৮২০৫, ০১৭১০-৮৮২৯৫৬, ০১৭০৬-৫০৪১৭৯) নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। অনুমতি ছাড়া অন্যের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার পর অবশ্যই প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট করতে হবে। পরীক্ষার হলে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রবেশপত্রের রঙিন কপি নিয়ে যেতে হবে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলি ও পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও প্রবেশপত্রে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগবিধি অনুসরণ করে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। তিন ধাপে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।
Link copied!