বড়লোকদের ব্ল্যাকমেইল করা যাদের পেশা: এখন সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা
প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
সাইফা মীম। সরকারি দলের হুইপের পুত্রবধূ। চট্টগ্রামের হুইপ সামশুল হকের পুত্র শারুনের স্ত্রী ছিলেন তিনি বহু আগে। তার সঙ্গে শারুনের ডিভোর্স হয়েছে। এক সন্তান, সেই সন্তানেরও দেখভাল করেন শারুন। কিন্তু সাইফা মীম সাম্প্রতি বাংলাদেশ, রাষ্ট্র এবং সরকার বিরোধী প্রচারণার অন্যতম একজন কুশীলবের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেকে ক্ষতবিক্ষত দেখিয়েছেন। দাবি করেছেন যে, তিনি শারুনের অত্যাচারের শিকার। দুই বছরের বেশি আগে থেকেই শারুনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে তিনি মেকআপ করে রক্তাক্ত চেয়ারা দেখিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কি প্রমাণ করতে চাইলেন? হুইপ পুত্র তাকে অত্যাচার করেছে? এটি প্রমাণ করে তিনি কি সরকারকে বিব্রত করতে চাইলেন? সাইফা মীম আসলে কে?
বাংলাদেশে উচ্চ মহলের বিভিন্ন সহজ সরল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা এবং ব্ল্যাকমইল করে তাদের কাছে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পেশায় সাইফা মীম একজন পরিচিত মুখ। বিভিন্ন বড়লোকদের অন্দরমহলে তাদেরকে পাওয়া যায়। বড় লোকদেরকে নানাভাবে ফুসলিয়ে, তাদের দুর্বলতা গুলো খুঁজে বের করে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করাই তার প্রধান পেশা। এভাবেই তিনি ধানমন্ডিতে থাকচ্ছেন। তার বাবা ও তার যে গাড়ি সেটিও একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছ থেকে ফুসলিয়ে নিয়েছেন। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই সাইফা মীমের অন্যতম পেশা বলে জানা গেছে। আর তার সহযোগী হলেন পিয়াসা। এই পিয়াসাকে কিছুদিন আগেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। পিয়াসাও এরকম একজন নারী, তিনি বিভিন্ন বড়লোকদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন, বিভিন্ন সোশ্যাল পার্টিতে যেয়ে বড়লোকদের এবং তাদের উঠতি সন্তানদের সন্তানদেরকে প্রলুব্ধ করেন। তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করার জন্য নানারকম ছল-চাতুরী করেন। অবশেষে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইলিং করেন।
আপন জুয়েলার্সের মালিকের পুত্রকেও তিনি ব্ল্যাকমেইলিং করেছিলেন। এবং পরবর্তীতে আবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য দুই নারীকে প্রলুব্ধ করেছিলেন। পিয়াসাকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন তার বাড়িতে বিশাল মদের আড়ৎ পাওয়া গিয়েছিল এবং পিয়াসা নিজেও তখন স্বীকার করেছিলেন যে, অনেক প্রভাবশালী, বড়লোকেরা তার কাছে আসেন। এবং এখানে এসে সময় কাটিয়ে তারা একটু অবসাদ মেটান। পিয়াসা এবং সাইফা মীম দুজন ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশে এ ধরনের সোসাইটি গার্ল আরও আছেন, যাদের বিলাসবহুল জীবনের কোনো আর্থিক উৎস কেউ জানে না। কেউ খবর নেয় না যে, তারা এতো আরাম-আয়েশের জীবন কিভাবে উপভোগ করেন। অথচ তাদের কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই। সাইফা মীম কিংবা পিয়াসা কেউই বলতে পারবে না যে, কোত্থেকে তাদের এরকম কোটি কোটি টাকা আসে। কিভাবে তারা এরকম রাজকীয় জীবনযাপন করেন। তারা না বলতে পারলেও সাধারণ মানুষ এটা জানে। আর এরা এখন সম্প্রতি সরকারকে বিব্রত করার জন্য নানামুখী তৎপরতা গ্রহণ করেছেন। দেশের বাইরে বিভিন্ন সাইবার সন্ত্রাসী এবং দুর্বৃত্ত যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানারকম অপপ্রচারে লিপ্ত তাদের কাছে এখন এরা ধরনা দিচ্ছেন, তাদের কাছে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। সাইফা মীম এবং পিয়াসা দুজনই সরকারকে এখন বিব্রত করার জন্য এই সমস্ত অপপ্রচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে কঠিন এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কারণ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্যই এরা এখন নতুন মিশনে নেমেছে।