শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে ১৪০ ফোনকল ও ই-মেইল

প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, জুলাই ১৯, ২০২০

সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে ১৪০ ফোনকল ও ই-মেইল

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের প্রতারণার বিষয়ে জানতে দুদিন আগে একটি হটলাইন খুলেছিল র‌্যাব। এতে এখন পর্যন্ত মোট ১২০টি ফোনকল ও ২০টি ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা হয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। ‘মহাপ্রতারক’ বলে অভিযুক্ত এই আসামির বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া, রিজেন্টের কর্মচারীদের বেতন না দেয়া, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ মিলেছে বেশি। রোববার (১৯ জুলাই) র‌্যাবের সদরদফতরে ফোর্সের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, সাহেদ করিমকে গ্রেফতারের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। সেখানে সাহেদ করিম তার সব অপরাধ স্বীকার করেন। পরে সাহেদ করিমের ড্রাইভার ও এমডির (রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজ) ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা গত ১৭ জুলাই র‌্যাবের একটি সেবা লাইন (হেল্পলাইন- 01777720211) চালু করি। সেবা লাইনের উদ্দেশ্য ছিল যারা রিজেন্ট হাসপাতাল বা সাহেদ করিমের হাতে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের আইনি পরামর্শ ও আইনি সহায়তা দেয়া। এতে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। এছাড়া একটি অফিসিয়াল ই-মেইলে বিস্তারিত তথ্যের জন্য আহ্বান জানাই। আজ পর্যন্ত ১২০টি ফোনকল ও ২০টি ই-মেইল মারফত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলোর মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেয়া ও বিভিন্ন দফতরে বদলির সুপারিশের আশ্বাস দিয়ে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন জায়গায় বালু ভরাট, রড-সিমেন্ট সাপ্লাইয়ের কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, রিজেন্ট হাসপাতালে সেবার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়, রিকশা-ভ্যানের ভুয়া লাইসেন্স দেয়ার তথ্য মিলেছে সাহেদের বিরুদ্ধে। এছাড়া রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজ ও সাহেদের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক থেকে ফোন দিয়ে ঋণ নেয়া সংক্রান্ত অভিযোগ মিলেছে।
Link copied!