শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বিএনপির মানবাধিকার দিবস ‘ফাঁকা আওয়াজ’

প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩

বিএনপির মানবাধিকার দিবস ‘ফাঁকা আওয়াজ’

ডেইলি খবর নিউজ ডেস্ক: গাজায় ইসরাইলিরা নারী-শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাকান্ড চালিয়ে গেলেও কোনো প্রতিবাদ না করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনে বিএনপির তোড়জোড়। ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালে বেশকিছু দিন আগে থেকেই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছিল দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী একটি কুচক্রি মতলববাজ মহল মানবতার ফেরিওয়ালারা। আদতে সেই ১০ ডিসেম্বরে কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এবারও একই ধরণের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যা আদতে ফাঁকা আওয়াজ। গেল বছর ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে এক ধরণের উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করে বিএনপি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে লাগাতার কর্মসূচির মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন দলের নেতারা। দলের একাধিক নেতা বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর বেগম জিয়ার কথায় দেশ চলবে। বলা হয়েছিল তারেক রহমানের নির্দেশে ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ চলবে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির এক নেতা বলেছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। এসব বক্তৃতার কোনো ভিক্তি নেই জেনে জাতি তাদের ফাকা আওয়াজকে বাকোয়াজ বলে বিএনপিকে আর বিশ^াস করতে পারছে না। এবারও তাদেও ১০ ডিসেম্বরে শীতে কাবুুুুুুুুুুুুুুুুুুু হচ্ছে তাদের সেই ফাকা আওাজ। এবারও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডাকেন তারা। এর আগে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতায় জড়ায়। সে সময় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাসনিম খলিল ও ডেভিড বার্গম্যানের নেত্র নিউজ থেকে প্রচার করা হয় মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর স্যাংশনের কথা। পরে ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বরে রাজধানীর গোলাপবাগের সেই কর্মসূচি থেকে জাতীয় সংসদে থাকা বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য পদত্যাগও করেছিলেন। কিন্তু বিএনপির বক্তব্য অনুযায়ী বেগম জিয়া, তারেক রহমান কারোরই দেখা মেলেনি। এরপর ২০২৩ সালে ২৪ মে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের ওপর ভর করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিএনপি। তাতেও গুরোবালি। গেল সেপ্টেম্বরে জামায়াত, বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে ও গোপনে বৈঠক করেন ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে থাকেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদুত পিটার হাসের এখন কোনো সারাশব্দ নেই। পরের আশা-ভরসায় চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। পরবর্তী এক মাসে হরতাল অবরোধের নামে দেশজুড়ে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়। পিটিয়ে হত্যা করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে। সেই থেকে প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা হচ্ছে। এভাবেই আবার আরেকটি ১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে সামাজিক মাধ্যমে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন তাসনিম খলিল ও ব্যার্গম্যানরা।২০২২ সালের মতো আবারও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। এমনকি নানা কল্পকাহিনী বর্ণনা করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন। এদিকে বিএনপিকে নিয়ে কথা বলা একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ বিদেশি কূটনীতিকরা। বরং নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণ না করার মাধ্যমে ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ বা নির্বাচনকালীন পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগও থাকছে না বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার রক্ষায় বিএনপি কি করলো? ফাকা আওয়াজ ছাড়া জাতি কিছু দেখতে পাচ্ছে না। বিশেষ করে গাজায় ইসরাইলিদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো বিএনপি দেখতে পায় না কেনো?
Link copied!