লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে ফেঁসে যাচ্ছেন কুয়েতের দুজন সংসদ সদস্য। অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা দুজন পাপুলের মানবপাচার ও অর্থপাচারে সহায়তা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হচ্ছে।
গত শনিবার গালফ নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কুয়েতে কারা হেফাজতে থাকা পাপুলের সঙ্গে কুয়েতি দুই সংসদ সদস্যের জড়িত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। কুয়েতের শীর্ষ দৈনিক আল কাবাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেশটির দুই সংসদ সদস্যকে ডাকা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সংসদ সদস্য পদ থেকেও তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। জানা গেছে, মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কুয়েতের সমাজকল্যাণ ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে দেশটির জনশক্তি কর্তৃপক্ষের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে তিন মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মানবপাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
মানবপাচার, অর্থপাচার ও শ্রমিক নিপীড়নের অভিযোগে কুয়েতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ৭ জুন সংসদ সদস্য পাপুলকে কুয়েত থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর রিমান্ডে তিনি কুয়েতি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আগামী মাসের প্রথমার্ধে তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হতে পারে। এর আগে তাঁকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।