শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

টিকিট পেতে প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ০৩:০৯ এএম, আগস্ট ২৮, ২০২০

টিকিট পেতে প্রতিযোগিতা

জাতীয় সংসদের পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে। এরই মধ্যে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভোটের প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে। ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে আগামী শনিবার কমিটির বৈঠক শেষে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মতো সংখ্যায় অনেক না হলেও পাঁচটি আসনে কমপক্ষে ১৫ নেতা বিএনপির মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। এর মধ্যে ঢাকার দুই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতাও শুরু হয়েছে। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। এতে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ইস্যুতে আলোচনা হয়। করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ও পুনর্গঠনপ্রক্রিয়া ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। আর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী পাবনা-৪ আসনে ২৬ সেপ্টেম্বর এবং নওগাঁ-৬ ও ঢাকা-৫ আসনে ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। বৈঠকে কোনো কোনো নেতা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোটে অংশগ্রহণের বিপক্ষে থাকলেও বেশির ভাগ নেতাই পক্ষে মত দেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ব্যাপারে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি সব নির্বাচনেই অংশ নেওয়ার পক্ষে। কিন্তু দেশে কি এখন ভোট হয়? তার পরও আমরা ভাবছি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বৈঠক করে দ্রুতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত এলেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করব। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে।’ এদিকে বিএনপি শেষ পর্যন্ত উপনির্বাচনে যাচ্ছে ধরে নিয়ে দলের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী নিজেদের মতো করে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। ঢাকার আসনগুলো পুনর্বিন্যাস হওয়ার আগে ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচন করতেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-৫ আসনই আমার সত্যিকারের ঠিকানা। নির্বাচন কমিশন আসনটি ভাগ করায় আমাকে ঢাকা-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এবার দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস করি। আমাকে প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে।’ এখানে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী নবী উল্লাহ বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আমাকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’ কাজী আবুল বাশারও এ আসনে দলের প্রার্থী হতে চান। তিনি বলেন, ‘দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে অংশ নেব। কেন্দ্র থেকে মাঠে সক্রিয় থাকার নির্দেশনাও পেয়েছি।’ ঢাকা-১৮ আসনে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, বাহাউদ্দিন সাদী ও মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মাঠে রয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন। এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘২০ বছর ধরে এখানে মানুষের জন্য কাজ করছি। দল আমাকে সুযোগ দিলে জয়ী হতে পারব।’ কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৩২ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। শতাধিক মামলার আসামি হয়েছি। দলের জন্য আগামী দিনেও কাজ করে যেতে চাই।’ বাহাউদ্দিন সাদী বলেন, ‘দল মনোনয়ন দিলে আসনটি পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দিতে সক্ষম হব।’ এদিকে নওগাঁ-৬ আসনে প্রার্থিতা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলু এখান থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন। পাবনা-৪ আসনে একাদশ নির্বাচনে লড়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। এবারও তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এখানে সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম সরদারও নির্বাচন করতে চান। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটে লড়েছিলেন কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। এবারও তিনিই ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন। এ ছাড়া আরো তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন। তাঁরা হলেন—নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সেলিম রেজা ও টি এম তাহজিবুল এনাম।
Link copied!