শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ছিঁচকে টাউট, ভিআইপি টাউট, বিশ্বটাউট

প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, এপ্রিল ২৪, ২০২০

ছিঁচকে টাউট, ভিআইপি টাউট, বিশ্বটাউট

আনু মুহাম্মদ: ‘টাউট’ নিছক গালি নয়, এটা একটা পরিচয়ও বটে। অভিধানে ‘টাউট’ শব্দ পাওয়া কঠিন হলেও মানুষের মুখে মুখে শব্দটি বহুল প্রচলিত। কাকে বলে টাউট কিংবা একজন কখন কেন আরেকজনকে টাউট বলে অভিহিত করে, তার বিচার করলে কয়েক ধরনের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য কিংবা কাজকর্ম ধরা পড়ে। এগুলোর মধ্যে আছে লোক ঠকানো, মিথ্যা কথা, প্রতারণা, জালিয়াতি ইত্যাদি। টাউট শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দ জুড়ে থাকে প্রায়ই, সেটা হলো বাটপার। টাউট-বাটপার দুটি শব্দই প্রতারণা-জালিয়াতি-লোক ঠকানো মানুষদের বোঝাতেই ব্যবহার হয়। ‘টাউট’দের নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশ আমলে ১৮৭৯ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল ‘টাউট আইন’। এ আইনে ‘টাউট’ বলতে এ রকম ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যারা কোনো আইনজীবী ও মক্কেলের মধ্যে যোগাযোগের কাজ করেন। অথবা দেওয়ানি বা ফৌজদারি আদালত, রাজস্ব কার্যালয়, রেলস্টেশন, ঘাট, আশ্রয়স্থান অথবা অন্য কোনো স্থানে আনাগোনা বা ঘোরাঘুরি করেন অথবা সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করেন। মানুষের চিন্তায়, কথায় টাউট শব্দের যে অর্থ বোঝা যায়, তা এতটা নিরীহ নয়। অনেকে বিভিন্ন দুষ্কর্মের জন্য টাউট হিসেবে মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়, তিরস্কার হিসেবে মানুষ তাদের ‘টাউট’ সম্বোধন করে। তবে যেসব কাজের জন্য এ শব্দ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো দৃষ্টিগ্রাহ্য হয় ছোট টাউটদের ক্ষেত্রে বেশি, বড় টাউটদের ক্ষেত্রে তা আড়ালে পড়ে যায় ক্ষমতা, দাপট আর ভদ্রলোকী মুখোশের কারণে। বড় টাউট যে শুধু দেশেই থাকে তা নয়, বাইরে থেকেও টাউট-বাটপার আসে। তাই টাউটকে প্রকৃতপক্ষে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে আছে খুচরা/ছিঁচকে টাউট; দ্বিতীয়ত, ভিআইপি টাউট এবং তৃতীয়ত, বিশ্বটাউট। খুচরা/ছিঁচকে টাউট এদের চোখে পড়া তুলনামূলক সহজ। এদের পাওয়া যাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পেছনে, দেখা যাবে থানার সামনে, পাওয়া যাবে লঞ্চ টার্মিনালে, বাসস্ট্যান্ডে, প্রাইভেট ক্লিনিকের আশেপাশে, আদালতপাড়ায়, সরকারি অফিসের আশেপাশে। কী কাজ তাদের? কাজ বহুবিধ! বসের ফরমায়েশ অনুয়ায়ী কিংবা বসের ক্ষমতার দাপট নিয়ে তারা কাউকে মার দেয়, কারো কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে, কাউকে কোনো কাজ করিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেয়, থানায় লোকজন ধরে আনার পর ছাড়ানোর জন্য দরকষাকষির মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, মিথ্যা কথা বলে প্রাইভেট ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার বা অন্য কোনো ব্যবসার খদ্দের জোগাড় করে ইত্যাদি। কূটবিদ্যাই তাদের সম্বল। এ টাউটরা আসলে বড় টাউটদের খুচরা প্রতিনিধি বা কামলা হিসেবে কাজ করে। তাদের তাই সরাসরি দেখা যায়। তাদের কাজের মধ্যে মিথ্যা বলা, জালিয়াতি, লোক ঠকানো, জুলুমবাজি স্পষ্ট ধরা পড়ে। এ রকম আরো বহু কাজে এদের পাওয়া যায়। যেমন বিভিন্ন গ্রাম, নগর, বস্তি, টার্মিনাল থেকে মেয়েদের প্রতারণা করে, জোর খাটিয়ে, ধর্ষণ করে পতিতালয়ে বিক্রি করা। পতিতাবৃত্তিতে জোগান দেয়ার জন্য এ কামলা টাউটদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আরো আছে। যেমন ভেজাল ওষুধ, ভেজাল খাবার মানুষের সামনে রঙচঙ দিয়ে হাজির করা, মাদক ব্যবসার এজেন্ট, ঘুষ নেয়া-দেয়ায় মধ্যস্থতাকারী, আদম পাচারের ব্যবসায় লোক পটিয়ে শিকার বানানো, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বাজার তৈরি, কোনো বাটপারি পথ তৈরি করতে ভুয়া খবর ছড়ানো—সব ক্ষেত্রেই টাউটদের তত্পরতা দেখা যায়। ভিআইপি টাউট খুচরা বা ছিঁচকে টাউটদের অস্তিত্ব, টিকে থাকা ও বিকশিত হওয়ার সঙ্গে পুলিশ, সরকারি প্রশাসন, সম্পদশালী-ক্ষমতাশালী গোষ্ঠীর ভূমিকা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এদের প্রয়োজন, সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া খুচরা টাউটদের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। এ ক্ষমতাবান লোকদেরই ভিআইপি, সিআইপি বলা হয়। এদের মধ্যে মন্ত্রী, এমপি, বড় ব্যবসায়ী সবাই পড়েন। এদের পোষা ভদ্র টাউটও থাকে—সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, আমলা প্রভৃতি। এদের ক্ষমতা আইনকে পরিচালিত করে, প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, জনমত গঠনের উপায়যন্ত্র গণমাধ্যম প্রভাবিত বা পরিচালিত করে। সারা দেশে আজ যে নদী দখল, বন দখল, মাঠ দখল, পুকুর দখল দেখি, যেভাবে একের পর এক ব্যাংক লুট দেখি, মাদক, নারী ও শিশু পাচারের নানা ঘটনার কিছু কিছু প্রকাশিত হওয়ার কারণে জানতে পারি, সেগুলো যে এ হারে চলতে পারে তার প্রধান কারণ এগুলোর সঙ্গে ভিআইপি টাউটরা সম্পর্কিত। মানুষের মধ্যে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ তৈরি হলে তখন হঠাৎ হঠাৎ পুলিশ, র্যাব তত্পর হয়ে যায় এবং গিয়ে খুচরা টাউট ধরে এনে থানা হাজতে ভরে এবং পাশাপাশি সালাম দিয়ে আসে ভিআইপি টাউটকে। ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা নিয়ে বাংলাদেশে এখন অনেক আলোচনা। সরকারেরও অনেক হুমকি-ধমকি, প্রতিশ্রুতি শুনি। গত বছর তত্কালীন এক মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘দেখামাত্র ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গুলি করে মারতে হবে।’ সে সময়ের আরেক মন্ত্রীর ছেলে পিডিবির জায়গা দখল করে ইয়াবা কারখানা বানিয়েছে বলে সংবাদপত্রে খবর বের হয়েছিল। কিন্তু তার কিছু হয়নি। ইয়াবা ব্যবসার মূল হোতা হিসেবে গত কয়েক বছরে একজন সাবেক এমপির নাম পত্রপত্রিকায় বারবার এসেছে, তিনি কক্সবাজার-টেকনাফের খুবই প্রভাবশালী মি. বদি। একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী নির্বাচনের আগে বলেছেন, এ ‘বদির কোনো বিকল্প নাই।’ বদির উপস্থিতিতে একাধিকবার মাদকবিরোধী সমাবেশও হয়েছে। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন লোককে ধরে পকেটে ইয়াবা ভরে গ্রেফতার চলছে কিংবা মাঝেমধ্যে মাদকসেবী খুচরা লোকজন ধরপাকড় চলছে। চলছে ভিআইপিদের সালাম জানানোও। ভিআইপি টাউটদের আমরা আরো বহু জায়গায় পাই। যাদের ব্যবসা বড়, অনেক বড় বড় হাউজিং এলাকা হাতে যাদের, খোঁজ নিলে দেখা যাবে এদের হাতেই জমা হয়েছে দেশের অনেক বিল-খাল, নদী, প্রান্তর; জমা হয়েছে অনেক দুর্বল মানুষের জমি। মুখে অবিরাম উন্নয়নের বুলির সঙ্গে সঙ্গে এদের এই অবিরাম খাওয়া প্রক্রিয়া চলে। বিজ্ঞাপনের জৌলুসে ঢাকা পড়ে যায় কত মানুষের হারানোর আর্তি। প্রকৃতি যে বিপর্যস্ত হয় তা বলার ভাষা নেই, তার ফলাফল অসংখ্য মানুষকেই বহন করতে হয়। ঢাকা শহর বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এদের কারণেই। এ রকম ভিআইপিদের কারণেই বুড়িগঙ্গা এখন ড্রেনের চেহারায়, দুর্গন্ধময়। ব্যাংকের মালিক যারা, যারা বড় খেলাপি ঋণগ্রহীতা, তাদের দেখে কেউ টাউট বলে না, এদের ভিআইপি-সিআইপি বলে জানে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় খেলাপি ঋণগ্রহীতা, যার কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের ৮-১০ হাজার কোটি টাকা পাওনা বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে, তিনি আবার সরকারের অন্যতম নীতিনির্ধারক। এই তিনিই আবার শেয়ারবাজার থেকে আরো বহুগুণ অর্থ লোপাটের সঙ্গেও সম্পর্কিত ছিলেন বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। আরেকজন সাবেক মন্ত্রী ব্যাংক কিনে জনগণের আমানত নিয়ে তা এমনভাবে এত দ্রুত লুটপাটের ব্যবস্থা করেছেন যে ব্যাংকটি এখন দেউলিয়া। তো এ ব্যক্তি ও গোষ্ঠী কীভাবে এই কাজগুলো করে? করে টাউট মডেলে। এদের মধ্যে টাউট সংজ্ঞায় যা যা পড়ে, তার সবকিছুই আছে— মিথ্যাচার, জাল দলিল বানানো, প্রতারণা, লোক ঠকানো ইত্যাদি। এ রকম টাউট ভিআইপি আরো পাওয়া যায় ভুয়া আমদানি-রফতানি, প্রশ্নপত্র ফাঁস ইত্যাদির সঙ্গেও। এরাই সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প, রূপপুর প্রকল্পের মতো দেশবিনাশী প্রকল্পের সহযোগী থাকে। তাদের পক্ষে ওকালতি করার মতো বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞও যথারীতি তৈরি হয়। টাউট তোষণ করেই যাদের জীবন-জীবিকা, নাম-যশ ও খ্যাতি। এরাই জনধ্বংসী, পরিবেশধ্বংসী প্রকল্পকে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে হাজির করে। যখন এর ভয়াবহতা পরিষ্কার হয় তখন আর এদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে প্রতি বছর সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে হাজার হাজার মানুষ। কী কারণে ঘটে এসব দুর্ঘটনা? শুধু পরিবহন শ্রমিকদের দানব বলে আখ্যায়িত করে এর আসল কারণ উদ্ধার করা যাবে না। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এতসব দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী সড়কের অবস্থা, ভুল বাঁক এবং বাস ও নৌপথের ক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ বাস-লঞ্চ। এর সঙ্গে থাকে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, কর্মঘণ্টা, টার্মিনালে চাঁদাবাজি ও দুর্বৃত্ত শাসন, ভুল যানে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া। ভুয়া ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়া আর পরিবহন শ্রমিকদের অন্যায়ের হাতিয়ার বানানোর পেছনে কারা থাকে? কারা পরিবহন খাত থেকে শতকোটি টাকা তুলে নেয় আর তার বদলে মৃত্যুফাঁদ তৈরি করে? এরা সবাই ভিআইপি। এরা উল্টোদিকে গাড়ি চালায়, এদের গাড়ির মডেল বদলাতে থাকে নিয়মিত, এরা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে, অপরাধীর স্বর্গরাজ্য বানায় এবং তা রক্ষা করে। এসব করতে গিয়ে ভুয়া ফিটনেস সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে অনেক জাল দলিলই তাদের বানাতে হয়। বিশ্বটাউট এ দেশী ভিআইপি টাউটদের বল, ভরসা আর সমর্থন আসে আন্তর্জাতিক বা বিশ্বটাউটদের কাছ থেকে। এ বিশ্বটাউটরাও নিজেদের স্বার্থে দেশে দেশে তাদের সহযোগী টাউট টিকিয়ে রাখে। বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফ বা এডিবি বিশ্বজুড়ে উন্নয়ন সংস্থা হিসেবেই পরিচিত। বাংলাদেশে বিদ্যায়তনগুলোয়, অর্থনীতি-উন্নয়ন চিন্তায়, গণমাধ্যম তাদের সেভাবেই চিহ্নিত করে থাকে। কিন্তু এসব সংস্থা প্রণীত নীতিমালা নিয়ে স্বাধীনভাবে বিশ্লেষণ করলে যে কেউ নিশ্চিতভাবে পাবেন মিথ্যাচার, প্রতারণা, ভুল তথ্য, লোক ঠকানো, এক কথা বলে আরেক কাজ করা, কিছু দেশী-বিদেশী গোষ্ঠীকে লাভবান করতে গিয়ে দেশের বিপদ ডেকে আনার নানা ঘটনা। এদের পরামর্শে বাংলাদেশের নদীগুলোয় যত প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সেগুলোই নদীগুলোর বিপদ ডেকে এনেছে; পাট খাত উন্নয়নের নামে বন্ধ হয়েছে আদমজী; জ্বালানি খাতে তাদের প্রণীত নীতিমালার কারণে এ খাত চলে গেছে দেশী-বিদেশী টাউটদের হাতে; শিক্ষা খাতে তাদের প্রকল্পের ফলাফলে বাণিজ্যিকীকরণ বেড়েছে; বেড়েছে পরীক্ষার ভার, অনিয়ম নৈরাজ্য; বেড়েছে শিক্ষা খাতে ব্যয়। একবার এক টাউট জমি বিক্রি করতে গিয়েছিল আরেক লোকের কাছে। পরে ওই জমির দলিলে নির্দেশিত জমি খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, ওটা হলো বঙ্গভবন। পত্রিকায় এ রকম খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সবাই বলেছিল, ওই লোক হলো একটা টাউট। কিন্তু বাংলাদেশে ঠিক একই কাজ করছে এশিয়া এনার্জি (জিসিএস) বলে এক বিদেশী কোম্পানি। বাংলাদেশের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত কয়লা খনি বা উত্তরবঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞ করে ৮০ শতাংশ কয়লা বিদেশে পাচার করার প্রকল্পকে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে হাজির করেছিল এ কোম্পানি। দেশী বেশকিছু টাউট বিশেষজ্ঞ, আমলা, রাজনীতিবিদ তাদের প্রকল্প ফেরি করছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ২০০৬ সালে জীবন দিয়ে ঠেকিয়েছিল ধ্বংসযজ্ঞের প্রকল্প। বিতাড়িত হয়েছিল ওই কোম্পানি। তারপর আর ওই কোম্পানি চুক্তি নবায়ন করতে পারেনি। অথচ দেশী টাউটদের সহযোগিতায় এ কোম্পানি এখনো ফুলবাড়ীতে কয়লা খনি দেখিয়ে লন্ডনে শেয়ারবাজারে ব্যবসা করছে। সুন্দরবনে প্রতি বছর ৪৭ লাখ টন কয়লা পোড়ানো হবে উন্নয়নের নামে। ভারতের বিভিন্ন কোম্পানি আর দেশী কিছু গোষ্ঠীর পক্ষে দুই দেশের সরকার এটা বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ১ হাজার ৫০০ ইটভাটার সমান আগুন জ্বলবে সুন্দরবনের ঘাড়ের ওপর। এই অতুলনীয় বনের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় প্রতিদিন ১২ হাজার টন কয়লা পরিবহন হবে, তার পরও ‘সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না’— এ রকম চরম মিথ্যাচার, ভুয়া পরিবেশ সমীক্ষা যারা করে, তারাও টাউটের বৈশিষ্ট্যই ধারণ করে। ছোট ছিঁচকে টাউটদের শক্তি খুঁজতে গেলে বড় ক্ষমতার দিকেই তাকাতে হবে। বড় টাউটদের সালাম করে টাউট রাজনীতি, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি তো বটেই, খুচরা টাউটদের হাত থেকেও বাঁচা যাবে না। লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সদস্য সচিব, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি
Link copied!