শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ক্ষুদ্র ঋণে ব্যাংকগুলোর অনীহা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬ এএম, অক্টোবর ২৩, ২০২০

ক্ষুদ্র ঋণে ব্যাংকগুলোর অনীহা

ডেইলি খবর ডেস্ক: সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে সিএমএসএমই খাতের ঋণ বিতরণে আগ্রহ নেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। জামানতবিহীন ঋণ সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করছে না তারা। ফলে পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের ঋণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এই ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া গতিশীল করতে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস্ ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়, সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণকে অধিকতর উৎসাহিত করতে চারটি পুনঃঅর্থায়ন স্কীম থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনঃঅর্থায়নের বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সিএমএসএমই খাতে চলতি মূলধন ঋণ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কীম গঠন করা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থায়ন করে ১০ হাজার কোটি টাকা। তবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘জামানতবিহীন ঋণ’ সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করছে না। ফলে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ বিতরণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান ‘কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কীম’ সংক্রান্ত নীতিমালায় বর্ণিত পুনঃঅর্থায়ন প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণে ‘একক উদ্যোক্তা’ শব্দাবলী ব্যবহারের কারণে মালিকানার ধরণে অস্পষ্টতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই সিএমএসএমই খাতে ঋণ বা অর্থায়নের বিপরীতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে আগের নীতিমালায় বর্ণিত ‘জামানতবিহীন ঋণ’ সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ এতদসংক্রান্ত আইনের অন্যান্য সব নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। পাশাপাশি ‘কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য মফস্বলভিত্তিক শিল্প স্থাপনে পুনঃঅর্থায়ন স্কীম’ নীতিমালায় বর্ণিত ‘একক উদ্যোক্তা’ শব্দাবলীর পরিবর্তে ‘একক উদ্যোগ’ প্রতিস্থাপিত হবে। উল্লেখ্য, করোনা শুরুর পর থেকে অর্থনীতির ধাক্কা সামাল দিতে বিভিন্ন খাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এসব প্রণোদনা প্যাকেজের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য। এক বছর মেয়াদি ঋণের সুদের হার ধরা হয় ৯ শতাংশ। এর মধ্যে সাড়ে ৪ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা এবং সাড়ে ৪ শতাংশ সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে দু’মাস সময় বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঋণ দেয়ার সময় বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বরাবরই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে অনীহা ব্যাংকগুলোর। অথচ করোনা সংকটে প্রণোদনার অর্থ ছোট ব্যবসায়ীদের আগে দেয়া উচিত ছিল।
Link copied!