স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড। ভরিতে পাঁচ হাজার ৭১৫ টাকা বেড়ে করোনার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার টাকায় পৌঁছাল স্বর্ণের ভরি।
আজ মঙ্গলবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে। সোমবার বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৮ মে দাম বাড়ানো হয়েছিল।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে (দুবাই) সোমবার প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ছিল ৫৩ দশমিক ১৬ ডলার। এ হিসাবে স্থানীয় মুদ্রায় প্রতি ভরির দাম পড়ে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে) ৫২ হাজার ৭০৪ টাকা।
ফলে দাম কমার পরও দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি বাজারে ভরিতে পার্থক্য ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ স্বর্ণের বাজারে বিশৃঙ্খলা চলছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ টাকা। সোমবার এর দাম ছিল ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা।
এ হিসেবে ভরিতে দাম বেড়েছে পাঁচ হাজার ৭১৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৬১ হাজার ৮১৯ টাকা থেকে বেড়ে ৬৬ হাজার ৭১৮ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৮৯৮ টাকা।
১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ প্রতি ভরি ৫৬ হাজার ৮০৩ টাকা থেকে বেড়ে ৫৭ হাজার ৯৭০ টাকায় বিক্রি হবে। ফলে ভরিতে দাম বেড়েছে এক হাজার ১৬৭ টাকা।
তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতি ভরি ৪৪ হাজার ৩১ টাকা থেকে বেড়ে ৪৭ হাজার ৬৪৭ টাকায় বিক্রি হবে। এ হিসাবে ভরিতে দাম বাড়াল তিন হাজার ৬১৫ টাকা।
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। আগের দাম অনুসারে প্রতি ভরি রুপা ৯৩৩ টাকায় বিক্রি হবে। তবে একজন ক্রেতা কোনো জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণের অলঙ্কার কিনতে চাইলে তাকে ভ্যাট ও মজুরি দিতে হয়।
জানা গেছে, মানভেদে দেশে চার ধরনের স্বর্ণ বিক্রি হয়। এর মধ্যে ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ স্বর্ণ থাকে। আর পুরনো স্বর্ণালঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ। এ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ স্বর্ণের পরিমাণ নির্দিষ্ট করা নেই।