শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

করোনার বিরুদ্ধে সফল ফিলিস্তিন, নতুন রোগী নেই

প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, মে ১২, ২০২০

করোনার বিরুদ্ধে সফল ফিলিস্তিন, নতুন রোগী নেই

বৈশ্বিক মহামারি করোনা বিশ্বজুড়ে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তা থেকে বাদ পড়েনি উন্নত বা অনুন্নত কোন দেশই। করোনায় কাবু বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী রাষ্ট্র ইসরায়েলও। দেশটিতে ইতিমধ্যে আক্রান্ত ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে, আর মারা গেছে ২৫৪ জন। কিন্তু কেমন আছে ইসরায়েলের দখলদারিত্বে বসবাস করা দূর্বল ফিলিস্তিন? গতকাল পর্যন্ত টানা চারদিন নতুন কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি ফিলিস্তিনে । দেশটির স্বাস্থমন্ত্রী মাই আলকাইলা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে ফিলিস্তিনে কভিড-১৯ আক্রান্ত রয়েছেন ৫৪৭ জন। এর মধ্যে ৩৫৫ জন পশ্চিম তীরে, ২০ জন গাজায় এবং ১৭২ জন দখলিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে।’ আলকাইলা বলেন, ‘এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৬৭ জন বা ৬৭ শতাংশ। আর মারা গেছে মাত্র ২ জন। তবে ইসরায়েলের অবরোধে থাকা গাজায় কোন মৃত্যু নেই। তুলনামুলক এ চিত্র বলে দিচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই দিক থেকেই ইসরায়েলের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে ফিলিস্তিন। এ সাফল্যের কারণ হিসেবে মনেকরা হয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দু’মাস আগে প্রথম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় দেশটিতে। এসময় জরুরি প্রেেয়াজন ছাড়া বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয় সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি ইসরায়েল ও জর্দানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে অর্থনীতি রক্ষায় পশ্বিম তীরে বিধিনিষেধ শিথিল করে কিছু ব্যবসা চালু করার সুযোগ দেওয়া হলেও জরুরি অবস্থা থাকবে ৫ জুন পর্যন্ত। এ সময়ে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সব ধরনের জনসমাবেশ বন্ধ থাকবে। রামাল­ায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ইব্রাহিম মেলহেম বলেন, ‘সব ধরনের ধর্মীয় এবং সামাজিক কর্মকান্ড এখন বাসায় করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছে। সবাই হাত ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করছে।’ অন্যদিকে স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় থাকা গাজাতেও সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। গাজার মানুষ করোনা থেকে বেচেঁ থাকতে নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। মাস্ক তৈরি করছেন কেউ পাতা দিয়ে, কেউ বোতল দিয়ে, অথবা টিন ও কাপড়ের টুকরো দিয়ে । যা দৃষ্টি কেড়েছে বিশ্ববাসীরও। ১৩ বছর যাবত ইসরায়েলের অবরোধে থাকা এ অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে এখানে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা অনেক বেশি। তারপরও আক্রান্ত ও মৃত্যু দুই দিক থেকেই সাফল্য ধরে রেখেছে। এ নিয়ে গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইয়াদ আল বাজাম বলেন, ‘করোনার বিস্তুতি রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জনগণও এ ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।’ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা বলেন, ‘গত ২২ মার্চ এখানে প্রথম করোনা সনাক্ত হয়। এরপর থেকে আমরা ‘বাসায় থাকুন প্রচারণা চালু করেছি। বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে এবং মাস্ক পরছে। সূত্র: রয়া নিউজ, আল মনিটর, আলজাজিরা
Link copied!