মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

এমপির নামে চাঁদা দাবি চট্টগ্রামে প্রকল্পের কাজ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৩:২২ এএম, আগস্ট ২৯, ২০২০

এমপির নামে চাঁদা দাবি চট্টগ্রামে প্রকল্পের কাজ বন্ধ

ডেইলি খবর ডেস্ক: প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুরি পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের নামে চাঁদা দাবি করে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানান, গত ১৮ আগস্ট দুপুরে একদল সন্ত্রাসী এসে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা এ সময় বলতে থাকে স্থানীয় এমপির নির্দেশ, কাজ বন্ধ থাকবে। যন্ত্রপাতি যেখানে যে অবস্থায় ছিল, সেভাবে রেখেই জোরপূর্বক কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ক্রিসেন্ট অ্যাসোসিয়েটসের কর্মচারীরা এ সময় বারবার অনুরোধ করলেও সন্ত্রাসীরা মারধর এবং গুলি চালানোর হুমকি দেয়। এমনকি পাইপ স্থাপনের জন্য রাস্তার খুঁড়ে ফেলা স্থানটুকু ভরাট করতে দেয়নি সন্ত্রাসীরা।ফলে রাস্তায় গর্তে প্রতিদিন নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকার মানুষ। দুর্ঘটনা কবলিতও হচ্ছে। সেই সাথে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ পানি সরবরাহের কাজ। আশু সমাধান না হলে পুরো প্রকল্পই হুমকির মুখে পড়বে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।এ বিষয়ে কথা বলতে সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ বলে জানা গেছে। গত ১০ জুন পরিবারের ১০ সদস্যসহ তিনি করোনা সংক্রমিত বলে শনাক্ত হন। ওয়াসা সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি পরিশোধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পায় কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কো¤পানি লিমিটেড। প্রকল্পের কাজে অননুমোদিতভাবে দেশীয় একাধিক প্রতিষ্ঠানকে উপঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।এরমধ্যে এএনএফএল কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের বিতর্কিত একটি প্রতিষ্ঠানকে উপঠিকাদার বানানোয় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে প্রকল্প এলাকায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে আসছে। ফলে প্রকল্পের কাজ পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুব আলম বলেন, সেখানে ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় প্রকল্পের কাজ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার কাজ শুরু হয়। এতে বিলম্বের কারনে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।চট্টগ্রাম ওয়াসার এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, প্রকল্পটির শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অনুমোদনের পর কাজ শুরু করতে বিলম্ব হওয়ায় আমরা দ্রুত কাজ শেষ করতে চাইছি। কিন্তু ঠিক কোন কারণে প্রকল্পের কাজে স্থানীয়ভাবে বাধা আসছে তা জানা নেই। প্রকল্পটি বাস্তায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৩ উপজেলায় দৈনিক ৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
Link copied!