উজানের পাহাড়ি ঢল আর থেমে থেমে ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জে গত চার দিন ধরে যমুনা নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। আজ সোমবার (১৩ জুলাই) সকালে দ্বিতীয় দফায় বিপৎসীমা অতিক্রম করছে যমুনার পানি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার সকালে তা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যমুনা নদীতে আগামী ৭২ ঘণ্টা পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্বিতীয়বার বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি আর বন্যার কারণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়াল, ফুলজোড়,হুরাসাগর, ইছামতি.গোহালা ও গুমানী নদীসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর এবং চৌহালী উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদ বলেন, যমুনায় আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় বন্যার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোতে ১২৫ মেট্রিকটন চাল এবং নগদ তিন লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরো এক হাজার মেট্রিকটন চাল, শিশুখাদ্য ও গরুর খাবার বাবদ ৩০ লাখ এবং জিআর নগদ টাকা হিসেবে আরো ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এরইমধ্যে জেলায় ১৭৯টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ১৩টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা সদর এবং প্রত্যেক উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।