স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওেয়া হয়েছে। আরও কোনো দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর দরজা খোলা। সেখানে গিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনের কর্মসুচি প্রত্যাহার করে শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাবে এটাই প্রত্যাশা। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করি। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিলের সময় আরো বাড়ানো হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত কয়েকদিনের মতো রবিবার (৪ আগস্ট) থেকেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে কারফিউ বহাল থাকবে। কিন্তু শিথিলের সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এসব জেলায় আগে কারফিউ শিথিল ছিল ১৩ ঘণ্টা। এবার করা হয়েছে ১৫ ঘণ্টা।
তিনি আরো বলেন, রবিবার থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আগে যা ছিল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রংপুরে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সব দাবি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আমাদের মনে হয়, এখন শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপি সবসময় ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল। শুরু থেকেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছে। যে কারণে ছাত্রদের কাছে আহ্বান, তারা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান। কারণ, তাদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এরপরেও যদি তাদের কোনো দাবি থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবসময় খোলা আছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরো বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলে দিই, আমাদের শোকের মাস চলছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস। মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শাহাদতবরণ করার পর থেকে এটা চলছে। কারফিউ চলাকালীন দেশের সরকারি-বেসরকারি সব অফিস স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী তাদের কাজ চলমান রাখতে পারবে। তবে শনিবার ছুটির দিন থাকায় বেশির ভাগ অফিসই তাদের নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনার কারণে গত ১৮ জুলাই মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়, সারাদেশে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। প্রথমদিন ঢাকায় দুই ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল রাখা হয় জরুরি কাজ করার জন্য। পরদিন থেকে শিথিলের মেয়াদ বাড়তে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :