যাদের নেতৃত্বে মেট্রোরেলে হামলা হয়, জানালেন ডিবি প্রধান

রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ডিবি জানায়, পরিকল্পিতভাবে মিরপুরে মেট্রোরেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ হামলায় এক থেকে দেড় হাজার হামলাকারী অংশ গ্রহণ করে। হামলার সমন্বয় করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল শাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার অন্য ২ জন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখার সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) এবং ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মো. ফেরদৌস (রুবেল)।
ডিবি প্রধান বলেন, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছে। তারা শিক্ষার্থীদেরকে উসকে দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। বিশেষ করে তারা স্বপ্নের মেট্রোরেলে আগুন লাগিয়েছে, সেতু ভবনে আগুন লাগিয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের হামলা ও হত্যা করেছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।এছাড়া যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যোগ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা ।
তিনি আরো বলেন, গাজীপুরের সাবেক মেয়রের সহকারীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
জড়িতরা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অনেকে মনে করছে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবে, সেটা হবে না। মামলা হয়েছে, ডিবি তদন্ত করছে। জড়িত কাউকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।