খাগড়াছড়িতে সোহেল নামের এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনার জেরে জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
এদিন সকালে গণপিটুনিতে নিহত হন ওই শিক্ষক। তিনি খাগড়াছড়ি কারিগরি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। এর জেরেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০১৭ সালে কারাগারে যান সোহেল। সম্প্রতি তিনি ছাড়া পেয়ে আবার কর্মস্থলে যোগ দেন।
১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে পোস্টে ছড়ানো হয় যে, টেকনিক্যাল এলাকায় বাঙালিরা এক পাহাড়ি নারীকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর পাহাড়িরা দলে দলে এসে স্কুলে ঢুকে সোহেলকে পিটিয়ে হত্যা করে করে স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
তবে আদৌ সেখান থেকে কোনো পাহাড়ি মেয়েকে তুলে নেয়া হয়েছিলো কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোহেলকে হত্যার পরই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে খাগড়াছড়ি। পাহাড়ি-বাঙ্গালি দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। সদর উপজেলা থেকে চেঙ্গীস্কোর হয়ে শহরের শাপলা চত্ত্বর পানখাইয়াপাড়া রোড রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
১৪৪ মানছে না বিক্ষুব্ধ জনতা। শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে শহরজুড়ে বিক্ষোভ করছে বিক্ষুব্ধ জনগণ। শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কেউই কথা বলছে না। শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :