মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ভোটের বেসরকারি ফলও আসতে শুরু করেছে।
তবে নির্বাচনের জয় নির্ধারণী দোদুল্যমান কয়েকটি রাজ্যের ভোট গণনা এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে মার্কিন প্রশাসনকে ভাবতে হচ্ছে ভোট-পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে। সাধারণ মার্কিনিরাও উদ্বিগ্ন ভোটের ফল ঘোষণার পর কী হয় তা নিয়ে। খবর আরব নিউজের।
অন্যবারের তুলনায় এবার বেশিসংখ্যক মানুষ মানসিক চাপে ভুগছেন। নির্বাচনে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে যান, তার সমর্থকরা পরাজয় মানবেন কিনা সেই আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়তে পারে। নষ্ট হতে পারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ।
সহিংস পরিস্থিতিতে ক্ষতি এড়াতে অনেকে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। বেড়েছে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণও।
নির্বাচনকে ঘিরে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক শিবিরে উদ্বেগ বেড়েছে। রাজনৈতিকভাবে মিশ্র পরিবারগুলোতে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এমন সময়ে হচ্ছে, যখন কিনা সে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আর বর্ণবাদী অস্থিরতা তো আগে থেকেই চলছিল।
এরই মধ্যে বর্ণবাদী হামলায় ১২ জন আরব-আমেরিকান ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬৮ শতাংশ মার্কিন নাগরিক মনে করেন নির্বাচন তাদের মানসিক চাপ বাড়ার একটি উল্লেখযোগ্য উৎস।
২০১৬ সালে এভাবে চিন্তা করার কথা জানিয়েছিল ৫২ শতাংশ মানুষ। ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যেও আলাদা করে এ নিয়ে মানসিক চাপের অনুভূতি রয়েছে। ৭৬ শতাংশ ডেমোক্র্যাট, ৬৭ শতাংশ রিপাবলিকান ও ৬৪ শতাংশ স্বতন্ত্র সমর্থক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট চাপ বোধ করার কথা জানিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, লসঅ্যাঞ্জেলস ও শিকাগো অঙ্গরাজ্যে।