পিপিপির ভিত্তিতে ঢাকা বাইপাস চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হচ্ছে। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের ব্যয় ৪৩৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় দাঁড়াবে। একইসঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর বাড়ানো হচ্ছে।
সোমবার প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশিদ বলেন, পিপিপিতে মূল প্রকল্পের সাপোর্ট প্রকল্প হিসাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পিপিপিতে হওয়ায় অভিজ্ঞতাটি ছিল নতুন। তাই প্রথম দিকে জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের ধারণা ছিল না। আমরা পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির) সভায় এত ব্যয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। পিপিপি অথরিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন-তাদের কাছেও প্রকল্পটি নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। তাই তারা বুঝতে পারেননি যে এত বেশি খরচ হবে। যেহেতু প্রকল্পটি চালিয়ে নিতে হবে তাই সংশোধন করা ছাড়া উপায় নেই।
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ‘জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর (ঢাকা-বাইপাস) পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পটি পিপিপির আওতায় ‘বিল্ড ওন অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার’ পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কেবিনেট কমিটি অন ইকনোমিক অ্যাফেয়ার্সের (সিসিইএ) নীতিগত অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্পটির আওতায় সড়কটির নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এসআরবিজি-সেল ইউডিসি কনসোর্টিয়াম এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মধ্যে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগকারী ২০১৯ সালের ২০ মার্চ ‘ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’ গঠন করে। পিপিপি প্রকল্পের সহায়ক প্রকল্প হিসাবে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। মূল প্রকল্পটি ২৩৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ১ মার্চ অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পের কিছু নতুন অংশ অন্তর্ভুক্ত এবং অংশের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মোট ৬৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রথম সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসাবে সংশোধনী প্রস্তাবে বিদ্যমান অংশের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৫ দশমিক ২২ হেক্টর বেশি ভূমি অধিগ্রহণ এবং এ খাতে ৪০১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। কনসালটেন্সি খাতে অতিরিক্ত ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বৃদ্ধি এবং পুনর্বাসনের জন্য ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মামুন-আল-রশীদ আরও বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে নিরাপদ, উন্নত ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা দেশের সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করাসহ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে